দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ মার্চ: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে চলমান সন্ত্রাস ও নাশকতায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সড়ক পরিবহন খাতে আনুমানিক ৭০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।তিনি সোমবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি পরিবহন খাতে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত ৩২৫টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং ৫শ’টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশে চলমান নাশকতায় সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি’র ক্ষতির পরিমান ১৬ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯শ’ টাকা। এর মধ্যে অগ্নিসংযোগে ক্ষতি ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩শ’ টাকা, ভাঙচুরজনিত কারণে ক্ষতি ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫শ’ টাকা এবং রাজস্ব খাতে ক্ষতি ১৫ কোটি ৬২ লাখ ৬৩ হাজার ১শ’ টাকা।তিনি বলেন, সরকার ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের মালিক এবং নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করছে।গত এক বছরে ২ হাজার ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশের এফআইআর অনুযায়ী গত এক বছরে ২ হাজার ২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।তিনি সংসদে সরকারি দলের সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।মন্ত্রী বলেন, এসব দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৬৭ জন নিহত এবং ১ হাজার ৫৩৫ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দুর্ঘটনা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) মাধ্যমে মহাসড়কে ২০৯টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে সওজ কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে আরো ১৮টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করে। ফলে এখন মোট দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান ২২৭টি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৭টি স্থানে রক্ষণাবেক্ষণ খাত থেকে সওজ’র মাঠ পর্যায় ইতোমধ্যে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫৬টি স্থানের কাজ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় করা হচ্ছে।তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৩১টি এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ১০টি স্থানে রোড ডিভাইডার নির্মাণসহ চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলমান রয়েছে।
এদিকে, জাতীয় সংসদে সোমবার খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিল ২০১৫ উত্থাপন করা হয়েছে।কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা, সমতা অর্জন ও জাতীয় পর্যায়ে কৃষি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করতে সুনির্দিষ্ট বিধানসহ খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যলয় স্থাপনের প্রস্তাব করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি উত্থাপন করেন।
বিলে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, চ্যান্সেলর, ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, সিন্ডিকেট ও কাউন্সিল সদস্য নিয়োগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা, শিক্ষাদান, মঞ্জুরী কমিশনের দায়িত্ব, ভাইস-চ্যানেসলর, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলরসহ কর্মকর্তা নিয়োগ এবং ক্ষমতা ও দায়িত্বসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়।বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল,অনুষদ, বিভাগ, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি, বাছাই কমিটি, পাঠক্রম কমিটি, ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটি ও সংবিধি অনুযায়ী অন্যান্য কর্তৃপক্ষ গঠনের বিধানের প্রস্তাব করা হয়।বিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের সিন্ডিকেট গঠন এর সভা, ক্ষমতা ও দায়িত্ব, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল,ট্রাস্টি বোর্ডসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধানের প্রস্তাব করা হয়।পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের জন্য বিলটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।