দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০মার্চ: পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডে সরকার এ পর্যনত্ম ২ হাজার ৯শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে৷তিনি মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য এস, এম, জগলুল হায়দারের এক প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন এ ফান্ডে বিদেশী কোন অনুদান-সাহায্য নেই৷ বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে এ ফান্ড সৃষ্টি করা হয়েছে৷
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্টি বোর্ড এ পর্যনত্ম সরকারি ২৩৬টি প্রকল্পের অনুকূলে প্রায় ২ হাজার ৬৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং বেসরকারি ৬৩টি প্রকল্পের ২৫ কোটি ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে৷
তিনি বলেন, গৃহীত প্রকল্পসমূহ বাসত্মবায়নের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় ১৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বাঁধ এবং ৬ হাজার ৭৬০টি ঘূর্ণিঝড় সহিষ্ণু করা নির্মাণ করা হয়েছে৷ নদী ভাঙন থেকে জনপদ রক্ষার জন্য ১৪২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এবং ১২২ কিলোমিটার তীর প্রতিরক্ষা কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে৷ ৫৩৫ কিলোমিটার খাল খনন অথবা পুনঃখনন এবং রেগুলেটর/সস্নুইসগেট ৪৪টি পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে৷
মন্ত্রী বলেন, ১৬৬ কিলোমিটার পয়ঃনিষ্কাশন নালা নির্মাণ হয়েছে৷ ৭৪০টি গভীর নলকূপ, ৩০টি পস্নাস্যান্ড-ফিল্টার এবং ৫০টি ভ্রাম্যমাণ পানি শোধনাগার প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে৷ ৫শ’টি পানির উত্স এবং ৫৫০টি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে৷ ৪টি উপজেলায় কৃষি আবহাওয়া সতকর্ীকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে৷তিনি বলেন, ৪ হাজার ৫শ’টি মেট্রিক টন প্রতিকূলতা সহনশীল শষ্য বীজ উত্পাদন ও বিতরণ করা হয়েছে৷ ১৪৩ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন বৃক্ষ রোপণ এবং ৪ হাজার ৯৭১ হেক্টর বনভূমি বনায়নের আওতায় করা হয়েছে৷
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ৭ হাজার ৮শ’টি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন এবং ৫ লাখ ২৮ হাজার উন্নত চুলা বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রত্যনত্ম এলাকায় বিদু্যতের চাহিদা মেটাতে ১২ হাজার ৮৭২টি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে৷