দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৯ মার্চ: অবশেষে একটি অপ্রাপ্তি ঘুচল; বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে প্রথম শতক এনে দিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেইড ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকটি তুলে নেওয়ার পাশাপাশি একটা ইতিহাসই গড়লেন মাহমুদুল্লাহ।বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো খেলোয়াড়েরই সেঞ্চুরি নেই। ব্যাপারটা বড় ধরনের এক আক্ষেপ হয়েই ছিল এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। সেই আক্ষেপ আজ ঘুচিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। ক্রিকেটের বিশ্ব আসরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি পেয়ে গেলেন তিন অঙ্কের স্বাদ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাডিলেডে ১৩৮ বলে ১০৩ রানের ইনিংসটি খেলে মাহমুদউল্লাহ ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করলেন নিজের নাম।নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপ আর ৩০তম বিশ্বকাপ ম্যাচে এসে বাংলাদেশ পেল সেঞ্চুরির আনন্দ। অস্বস্তিকর বিষয় হয়ে ওঠা ব্যাপারটিরও অবসান হলো। মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ দূর করে জানিয়ে দিলেন আমরাও পারি।১১৪টি ওয়ানডে খেলা মাহমুদউল্লাহর এটি প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। টেস্টে সেঞ্চুরি থাকলেও ৫০ ওভারের ফরম্যাটে তিন অঙ্ক ছুঁতে পারছিলেন না। আজ সেটাই করে দেখালেন। আর করলেন কোথায়! বিশ্বকাপের মঞ্চে! প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে। তবে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলটি আলতো করে ঠেলে দিড়ে দৌড়ে যখন প্রান্ত বদল করেন মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিক, উচ্ছ্বাসটা যেন মুশফিকেরই বেশি ছিল। ম্যাচ শেষেও মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে একটু হতাশা। তবে আনন্দটাও মিইয়ে যায়নি অবশ্য। বলেন, অবশ্যই খুব ভালো লাগছে। দলের হয়ে বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি অবশ্যই বিশেষ কিছু। তবে স্কোরকার্ডে আর ১৫-২০ রান যোগ করতে পারলে আরও বেশি খুশি হতাম। সেঞ্চুরিটা তিনি উৎসর্গ করেছেন স্ত্রী-পুত্রকে।এক ম্যাচ আগেই সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি গিয়ে ও ফিরে এসেছেন তামিম ইকবাল। ৯৫ রান করে সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। বিশ্বকাপে তামিম ছাড়া কাছাকাছি গিয়েও সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৭ করেছিলেন তিনি।
চার বিশ্বকাপের খরা কাটিয়ে পঞ্চম আসরে এসে বাংলাদেশ কোনো ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে শতকের ইনিংস পেল। সোমবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩১ বলে বলে শতক তুলে নেন মাহমুদুল্লাহ। ২৯ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারের শতকটি ছিল সাত চার ও দুই ছক্কায় সাজানো।৪৪তম ওভারের তৃতীয় বলে ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডকে অফসাইডে আলতো করে ঠেলে এক রান নিয়ে দারুণ এই মাইলফলকে পা রাখেন মাহমুদুল্লাহ।বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল তামিম ইকবালের। গত বৃহস্পতিবার নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।৪৫.৪ ওভারে রানআউট হওয়ার আগে ১৩৮ বলে ১০৩ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। এই অলরাউন্ডারের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা অপরাজিত ৮২ রান।শতক গড়ার পথে দুটি মূল্যবান জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পথে রাখেন মাহমুদুল্লাহ। তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৮৬ এবং পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৪১ রান করেন তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে করা শতকটি স্ত্রী ও ছেলেকে উৎসর্গ করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বিরতির সময় দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় শতকের ইনিংসটাকে আরো লম্বা করতে না পারার আক্ষেপের কথাও জানান তিনি।
৪৪তম ওভারের তৃতীয় বলে স্টুয়ার্ট ব্রডকে অফসাইডে আলতো করে ঠেলে এক রান নিয়ে দারুণ এই মাইলফলকে পা রাখেন তিনি।বাংলাদেশের ইনিংস শেষে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় মাহমুদুল্লাহ বলেন, এটা ছিল আমার জন্য বিশেষ ইনিংস। ইনিংসটি আমার স্ত্রী ও ছেলেকে উৎসর্গ করছি।মাহমুদুল্লার স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি ও ছেলে মোহাম্মদ মাহরুজ উল্লাহ রাঈদ তখন স্টেডিয়ামে ছিলেন। শতক করার করার তাদের দিকে ফিরে উড়ন্ত চুমু ছুড়ে দেন তিনি।দলীয় ৮ রানে তামিম ইকবালের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন মাহমুদুল্লাহ। শুরুতে একটু ধীরলয়ে ব্যাটিং করেন তিনি। ৬৯ বলে অর্ধশতক করা মাহমুদুল্লাহ তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে খেলেন আরো ৬২ বল।৪৬তম ওভারে ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ১৩৮ বলে ১০৩ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। এটি তার ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সেরা ইনিংসও। এই অলরাউন্ডারের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলা অপরাজিত ৮২ রান।দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার পরও আক্ষেপের কথা বলেন মাহমুদুল্লাহ, খুবই ভালো অনুভব করছি, কিন্তু আরো কিছু রান করতে পারলে বেশি ভালো লাগত।বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল তামিম ইকবালের। গত বৃহস্পতিবার নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।শতক গড়ার পথে তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৮৬ ও পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৪১ রানের দুটি মূল্যবান জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ।