dinajpur- mango tree-mukul-pic_64587

দৈনিকবার্তা- বরিশাল, ০৯ মার্চ: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার গাছে গাছে আম ও লিচুর মুকুলে ছেয়ে গেছে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ছোট বড় সব গাছে এবার রেকর্ড পরিমান মুকুল দেখা দিয়েছে। এবার মাস দুয়েক আবহাওয়া ভাল থাকলে এই মৌসুমী ফলের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে দ্বিগুন হবে বলে উপজেলার চাষীরা জানিয়েছেন।

আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা গ্রামের চাষী আ. রহমান, হাবিবুর রহমান, কালুরপাড় গ্রামের এব্রাহীম বেপারী বলেন, আমরা ¯েপ্র দিয়ে ঔষধ প্রোয়গ করে মুকুল আটকানোর চেষ্টা করছি। আবহাওয়া ভাল থাকলে এই মৌসুমী ফলের উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে দ্বিগুন হবে।

Lichi_48214আগৈলঝাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন জানান, উপজেলা সদরসহ ৫টি ইউনিয়নের অনেক স্থানে এখন বানিজ্যিক ভাবে আম ও লিচু চাষ করা হচ্ছে। আগের তুলনায় এলাকায় বেড়েছে বাগান ও ফলের চাষ। এলাকায় বাগানের পাশাপাশি সরকারি অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফাঁকা জায়গায় সারি সারি করে এসব ফলজ গাছ রোপন করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, গত এক সপ্তাহের বৈরি আবহাওয়াতে আমের মুকুলের পরাগায়ন বিঘœ, ছত্রাকজনিত রোগের আক্রমন, পোকার আক্রমনে মুকুলে এ্যানথ্রাকনোজ রোগ দেখা দিতে পারে। এ থেকে পরিত্রান পেতে আম চাষীদের হপার পোকার জন্য তরল কীটনাশক, এ্যানথ্রাকনোজ রোগের জন্য ছত্রাক নাশক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। আমগাছে মুকুল হলেই যে বেশি আম ধরবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন বা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলে বা তাপমাত্রা কমে গেলে মুকুল নষ্ট হয়ে যায়। ৯৯ ভাগ মুকুল থেকে কোন গুটি হয়না। আবার বিভিন্ন কারনে গুটিও ঝরে পরে। মাটিতে প্রয়োজনীয় রস না থাকলে গুটি ঝরে পড়ে বেশি। তাছাড়া নিয়ম ভঙ্গ করে গ্রাম গ্রামে ইট ভাটা স্থাপিত হওয়ায় এর ছাই প্রতি বছর আমের মুকুলের ক্ষতি করছে। যদিও এবার প্রচুর মুকুল এসেছে, তবে ফলন নির্ভর করবে পরবর্তী আবহাওয়ার উপর।