দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ মার্চ: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি হোসেন খালেদের নেতৃত্বে ডিসিসিআই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ রোববার পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, এম.পি.-এর সাথে সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে শিল্প এলাকায় সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি) স্থাপনে পিপিপি-এর মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ল্যাবরেটরী ও গবেষণাগারে লোকবলের স্বল্পতার জন্য শিল্প-কারখানায় তিন মাস অন্তর অন্তর বায়ু/পানি পরীক্ষা করা যাচ্ছে না, তিনি এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পরিবেশ মন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ কল-কারখানায় প্রতি ঘনমিটারে বায়ুর পরিমান প্রতি ৮ ঘন্টায় ৫০০ মাইক্রোগ্রাম বহাল রাখার আহবান জানান। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ, শহরে পরিকল্পিত বনায়ন, বায়ুদূষণ রোধে পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জন মনিটর করার জন্য প্রয়োজনীয় ডাটাবেজ তৈরীর প্রস্তাব করেন। তিনি ঢাকার চারদিকের নদী সমূহ দূষণমুক্ত করে চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণের আহবান জানান। ডিসিসিআই সভাপতি পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে সবুজ শিল্পায়ন, বৃক্ষরোপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ব্যবসায়ীদের জন্য “গ্রিন কাড” প্রবর্তন এবং এ ধরনের কার্ড প্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের জন্য কম কর সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি ঋণের সুদের হার কম করার ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রস্তাব করেন।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, এম.পি, ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এবং বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের সমস্যা সম্পর্কে অবগত রয়েছে ও দেশে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, শিল্প-কারখানার জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদানের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে। মন্ত্রী আরোও বলেন, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর বর্জ অপসারন সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৬ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। তিনি আবাসিক এলাকা হতে কেমিক্যাল ও প্লাস্টিকের মত দাহ্য শিল্প-কারখানা সমূহ অন্যত্র স্থানান্তরের আহবান জানান। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহ-সভাপতি মোঃ শোয়েব চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান খান, মোঃ সবুর খান, এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, খন্দকার আতিক-ই-রাব্বানী, ওসমান গনি এবং ডিসিসিআই মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।