দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৮ মার্চ: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেছেন, তালগাছ আমার এমন গণতন্ত্রের দরকার নেই। এটা রাজনীতির মন্ত্র হতে পারে না। সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে দুই দল জনগণকে ভাঁওতা দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রোববার রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এরশাদ এসব কথা বলেন।জাতীয় পার্টির নেতা এরশাদ আরও বলেন, ১৯৯১ সালে গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছিল। সংসদীয় গণতন্ত্র তিনি চান না বলে জানান। তিনি বলেন, ক্ষমতায় এলে রাষ্ট্রপতির শাসন চালু করবেন। প্রাদেশিক সরকারও চালু হবে।
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, নব্বই সালের পর থেকে দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। একানব্বই সালে গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছে। আজ থেকে জাতীয় পার্টি গণতন্ত্র পুনরোদ্ধারের দায়িত্ব নেবে।আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে উদ্দেশ করে এরশাদ বলেন, মানুষ মেরে ক্ষমতায় যেমন থাকা যায় না। তেমনি মানুষ মেরে ক্ষমতায় যাওয়াও যায় না। দুই দলের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। তাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সুযোগ এসেছে।ঢাকা সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে এরশাদ বলেন, যারা মেয়র প্রার্থী হন, তাদের ক্ষেত্রে দেখা হয় কার কতো টাকা আছে। এটা কি গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র? নির্বাচনের জন্য ৫ থেকে ১০ কোটি টাকার দরকার। কার আছে এ টাকা? টাকা খরচ করতে পারে না বলেই সংসদে ভালো লোক আসতে পারে না। কেননা তাদের সে সামর্থ নেই।এ দেশে ক্ষমতা ছাড়া গণতন্ত্র নেই জানিয়ে এরশাদ বলেন, আমরা ক্ষমতানীতির কবর রচনা করবো।
এরশাদ-যৌথ সভা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয়ের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টি গণতন্ত্র নিশ্চিত করবে।যৌথসভায় নেতৃবৃন্দ জাতীয় পার্টিকে আবারও ক্ষমতায় বসাতে এবং এরশাদকে আবারও দেশের রাষ্ট্রপতি করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর জন্য আহ্বান জানান।জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আরও বলেন, ক্ষমতায় এলে আমরা প্রকৃত গণতন্ত্র ও প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করবো।যৌথসভায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন আহমেদ ও দক্ষিণে হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদকে মনোনয়ন দেয়া হয়।সভায় দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশে আজ রাজনৈতিক সংকট চলছে। জাতিকে আজ অবরুদ্ধ করে আন্দোলনের নামে নারী-শিশুসহ সাধারণ মানুষ খুন করা হচ্ছে।সভায় আবু হোসেন বাবলা এমপি, আহমদ ফয়সাল চিশতি, সুনীল শুভরায়, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।