দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৭ মার্চ: বাংলাদেশের নিরাপত্তা খাতে ব্রিটিশ সরকারের দেয়া ৫ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড সহায়তার অপব্যবহার করা হচ্ছে৷ নিরাপত্তা সেবা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম গৃহীত হয়৷ এতে বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা কর্মপদ্ধতি উন্নয়নে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু পুলিশ ও গোয়েন্দারা এ সাহায্য তাদের সরকারি দলের প্রতিপক্ষকে দমন-পীড়নে ব্যবহার করে থাকতে পারে৷ ব্রিটিশ সরকারের সহায়তাবিষয়ক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অন এইড ইমপ্যাক্ট (আইসিএআই) এক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগ জানিয়েছে৷ যদিও ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, তহবিল অপব্যবহারের কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই৷
ব্রিটেনের ডেইলি মেইল ও টেলিগ্রাফে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে৷ এতে বলা হয়, ব্রিটিশ সরকার মোবাইল ফোনের অবস্থান শনাক্ত করা, ফোনকলে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারির প্রশিক্ষণ দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশকে৷ বাংলাদেশী পুলিশ ও গোয়েন্দারা এ প্রশিক্ষণ ব্যবহার করে বিরোধী নেতাদের খুঁজে বের করে কারান্তরীণ করে থাকতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে আইসিএআই৷ সংস্থাটির এ উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক দফতর (ডিএফআইডি) প্রাথমিকভাবে বলেছিল, কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট অফিসারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নন৷
আইসিএআই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, আমাদের ডিএফআইডি এবং ইউএনডিপি উভয়ই জানিয়েছে যে, সমপ্রতি বাংলাদেশ পুলিশের রাজনীতিকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ আমরা প্রমাণ দেখেছি যে, বিরোধী তত্পরতার সময়গুলোতে কারাগারে কয়েদিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ অবনতিশীল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ সহায়তায় গঠিত গোয়েন্দা দক্ষতা বিরোধী দলগুলোকে পর্যবেক্ষণ এবং দমন-পীড়নে ব্যবহার করা হতে পারে৷ কমিশনের এ রিপোর্টের জবাবে ৪ মার্চ ডিএফআইডি বলেছে, এসব অভিযোগ নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে এবং তারা জানতে পেরেছে যে, ব্রিটিশ সহায়তা ব্যয় এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নে যোগসূত্রের কোনো প্রকার তথ্যপ্রমাণ নেই৷