দৈনিকবার্তা-ভোলা, ৫ মার্চ: নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) উদ্যোগে দেশী-বিদেশী চার জন পাখি বিশেষজ্ঞ ভোলা জেলাসহ উপকূলের সাগর মোহনার অভয়াশ্রমে পাখি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা ক্যাম্প শুরু করেছেন৷ নেকমের বন্যপ্রাণী গবেষক ও বার্ড রিংগার সামিউল মোহসেনিনের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ দলটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যনত্ম জেলার সর্ব দক্ষিণের সাগর মোহনার চর শাহাজালালে পাখি নিয়ে গবেষণা করেন৷ ভোলায় এ বছরই প্রথম বাংলাদেশের নামাঙ্কিত রিং পাখির পায়ে পড়িয়ে দেয়া হয়৷ বাংলাদেশের নামাঙ্কিত রিং ইংল্যান্ড থেকে নিয়ে আসার পর নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) চর শাহাজালালে পাখির অভয়াশ্রমে প্রথম এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং পাখির পায়ে রিং পড়িয়েছে৷ ৬ দিনে দেশী ও পরিযায়ী মিলে ১৫ প্রজাতির মোট ৬২টি পাখির পায়ে রিং পরানো হয়েছে৷
বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের এস.আর.সি.ডবি্লউ.পি প্রজেক্ট এর অধীনে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সার্বিক সহায়তায় এবারের গবেষণা ও রিং পড়ানো কার্যক্রমে সামিউল পমাহসেনিনের নেতৃত্বে অংশ নেন ইংল্যান্ডের পাখি বিশেষজ্ঞ বিল উইলিয়াম জোন্স এবং স্টিফেন স্যামওরথ, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সদস্য ও বাংলাদেশের প্রথম এভারেষ্ট জয়ী এমএ মুহিত এবং নেকমের মনিটরিং অফিসার ও বার্ড রিংগার ওমর শাহাদাত৷ ৬ দিনের রিঙ্গিং ও কালার ফ্লাগ ক্যাম্প শেষে নেকমের বন্যপ্রাণী গবেষক ও বার্ড রিংগার সামিউল মোহসেনিন ভোলার খেয়াখাটে সংবাদিকদের জানান, ভোলার চর শাহাজালালের অভয়াশ্রমে গত ৬দিনে ১৫ প্রজাতির মোট ৬২টি পাখির পায়ে রিং পড়ানো হয়েছে৷ এ ১৫ প্রজাতির মধ্যে ৯ প্রজাতির পাখি বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বাস করে৷ বাকি ৬ প্রজাতির পাখি পরিযায়ী৷ তিনি জানান, রিং পড়ানো ১৫ প্রজাতির পাখির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কালা-ফিঙ্গে, ধলাবুক মাছরাঙা, উদয়ী ধলাচোখ, লম্বা লেজী রাতচরা, গোবরে শালিক, হাড়ি চাচা, টুনটুনি, দোয়েল ও সাদা ঘাড় মাছরাঙা৷ পরিযায়ী পাখির মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো কালাভ্রু-নলফুুটকি, সবুজ-ফুটকি, হলদেভ্রু-ফুটকি, ব্লাইদের নলফুটকি ও তাইগা টুটকি৷ ৬দিনে যেসব পাখির পায়ে রিং পড়ানো হয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পাখি হাড়ি-চাচা ওজন ১০৩ গ্রাম ও