দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০৫ মার্চ: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও জঙ্গিনেতাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।তিনি বলেন, বেগম জিয়া এখন আর রাজনৈতিক দলের নেতা নন। মোল্লা ওমরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি এখন দানবে রূপান্তরিত হয়েছেন।তিনি আরো বলেন,এক সময় ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার অপরিণামদর্শী নানা সিদ্ধান্ত ও কর্মকান্ডের কারণে সংগঠনটি এখন জঙ্গিসংগঠনে পরিণত হয়েছে এবং বেগম জিয়া একজন জঙ্গিনেত্রী হিসেবে সারা পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।মানববন্ধনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম পোদ্ধার ও মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক রুকন উদ্দিন পাঠান উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।ড.হাছান বলেন,দেশ বিভাগের পর থেকে কতিপয় রাজনৈতিক দল তাদের রাজনৈতিক মতবাদ জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছিল। সিরাজ সিকদারের দল থেকে শুরু করে যে সমস্ত সংগঠন এই সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল, তারা টিতে থাকতে পারেনি, তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের মৃত্যু হয়েছে এবং তাদের নেতৃবৃন্দ জনগণের সামনে সন্ত্রাসী নেতা হিসেবে ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছেন।তিনি বলেন, আজ থেকে ২০ বছর পর বাংলাদেশের ইতিহাস পড়লে জঙ্গিনেত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার নাম লিপিবদ্ধ থাকবে।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা আইন মানেন না, আদালত মানেন না। তাঁর কৃত দুর্নীতির মামলার হাজিরার দিন তিনি নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। বেগম খালেদা জিয়া কারো কথায়ই কর্ণপাত করছেন না। শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, সমগ্র পৃথিবীর মানুষ এখন বেগম জিয়ার নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কথা বলা শুরু করেছেন।তিনি বলেন, আজ এ জঙ্গিনেত্রীর হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। দেশের আইনকে সমুন্নত রাখার জন্য এবং আদালতের নির্দেশনাকে সমুন্নত রাখার জন্য সরকার অবশ্যই আদালতের নির্দেশনা ও আইন অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।ড. হাছান আরো বলেন, আপনি উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। আপনার দল থেকে অনেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। সামনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আমরা আশা করবো, এই নির্বাচনেও আপনার দল অংশগ্রহণ করবে।