দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ০২ মার্চ: মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় জামালপুর জেলার জামায়াতে ইসলামীর আট নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।সোমবার সকালে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।ট্রাইব্যুনালে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়েছিলেন প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল।তাদের মধ্যে রয়েছেন আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা আশরাফ হোসেনসহ আলবদর বাহিনীর ছয়জন ও রাজাকার বাহিনীর দুইজন। তাদের বিরুদ্ধে আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেওয়া হয়েছে।আশরাফ হোসেন ছাড়া অন্য সাতজন হচ্ছেন আলবদর বাহিনীর অধ্যাপক শরীফ আহমেদ, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারি, মো. হারুন ও মো. আবুল হাশেম এবং রাজাকার বাহিনীর অ্যাডভোকেট শামসুল হক ও এস এম ইউসুফ আলী।
এদিকে, মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার মো. ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল সোমবার এ আদেশ দেয়। আগামী ৫ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য পেশ ও সাক্ষ্যগ্রহনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হবে।তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি। অপরদিকে আসামি ওবায়দুল হক তাহেরের পক্ষে ছিলেন এডভোকেট শাহ মোহাম্মাদ শাহাবুদ্দিন এবং আতাউর রহমান ননীর পক্ষে ছিলেন এডভোকেট গাজী টিএইচ তামিম।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ওবায়দুল হক তাহের ও আতাউর রহমান ননীর বিরুদ্ধে গতবছর ৪ ডিসেম্বর আনুষ্টানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। এ দু’জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি সুনির্দিষ্ট ঘটনায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুট। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে ১৫ জনকে হত্যা, প্রায় ৫শ’ এর মতো বাড়িঘর লুট ও অগ্নিসংযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওবায়দুল হকের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়ায় ও আতাউর রহমানের বাড়ী কেন্দুয়া এলাকায়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ দুই আসামি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।