দৈনিকবার্তা-চট্টগ্রাম, ০২ মার্চ: বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের বাধার মুখে ফের এজলাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন চট্টগ্রামের অন্তত ৩৫ বিচারক। হরতাল চলাকালে আইনজীবী সমিতির নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বিচার কাজ শুরু করেছিলেন বিচারকরা। তবে বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের তোপের মুখে তারা এজলাস ছাড়তে বাধ্য হন। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম আদালতে এ ঘটনা ঘটে।আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ, বিভাগীয় বিশেষ দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্তত ৩৫টি আদালত আধাঘণ্টার মতো সচল ছিল।রাষ্ট্রপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী আদালতের কার্যক্রমে অংশ নিলেও সাধারণ আইনজীবীরা অনুপস্থিত ছিলেন।এছাড়া আদালতে পাল্টাপাল্টি মিছিল-সমাবেশ করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা।
অন্যদিকে আইনজীবী না থাকায় মামলার শুনানি রেকর্ড করতে না পারলেও নিয়মিত আদেশগুলো এজলাসে বসেই দিয়েছেন বিচারকরা।জানা গেছে, আইনজীবী সমিতির এক সিদ্ধান্তের ফলে গত ২৬ বছর ধরে হরতাল চলাকালে চট্টগ্রামে আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেন না আইনজীবীরা। এতে আদালতের স্বাভাবিক কাজ বন্ধ থাকে। কিন্তু বিএনপির টানা হরতালের মধ্যে প্রথমবারের মতো গতকাল রোববার সকালে বিচারকরা আদালতের কাজ শুরু করেন।এই অবস্থায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিচারকাজে অংশ না নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় তারা বিচারকাজ বন্ধ রাখারও দাবি জানান। এরপর বেলা ১১টার দিকে বিচারকরা এজলাস ত্যাগে বাধ্য হন। রোববারের ন্যায় সোমবারও একই ঘটনা ঘটলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘মামলা জট কমানোর জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজসহ অন্তত ৩৫ বিচারক হরতালের মধ্যে এজলাসে উঠেন। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে এজলাস ছাড়েন বিচারকরা।এদিকে হরতালের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য সমিতিকে চারদিন সময় বেধে দিয়েছে আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের একাংশ। এসময় তারা ঘোষণা দেন, সমিতির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে আগামী ৭ মার্চ থেকে তারা আদালতের কার্যক্রমে অংশ নেবেন।জেলা পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।