দৈনিকবার্তা-চুয়াডাঙ্গা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ বিষয়ক নির্দেশনা উপেক্ষা করা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়৷ ফলে “সোয়াইন ফ্লু” ঝুঁকিতে রয়েছে দর্শনা আনত্মর্জাতিক রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট৷ বাংলাদেশ-ভারত সীমানত্ম এলাকার এ দুই চেকপোস্টে ভারত থেকে দেশের অভ্যনত্মরে আসা যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য দায়িত্বশীল কোনো চিকিত্সককে শুক্রবার দুপুর পর্যনত্ম দেখা যায়নি৷স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৃহসপতিবার ঢাকা হযরত শাহজালাল আনত্মর্জাতিক বিমানবন্দরে সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক এক জরম্নরি সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে মন্ত্রী বলেন, সোয়াইন ফ্লুর বিসত্মার রোধে জেলা পর্যায়ে মেডিকেল সার্ভিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে৷ ভারত সীমানত্ম এলাকার জেলাগুলোতে এ দলগুলোকে সার্বৰণিক সতর্ক রাখা হয়েছে৷ বৰ ব্যাধি, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ দেশের ৬৪টি জেলা হাসপাতালে এ জন্য পৃথক বিশেষ ইউনিট খোলা হয়েছে৷ কিন্তু মন্ত্রীর এ নির্দেশনা এখনও কার্যকর করেনি চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ৷
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার আনত্মর্জাতিক রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সরেজমিনে শুক্রবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক ব্যানার টানিয়ে রেখেছে কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী৷ সোয়াইন ফ্লু প্রতিরোধ বিষয়ক কোনো চিহ্ন সেখানে পাওয়া যায়নি৷ দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে নিয়োজিত দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নঙ্রে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজামাল ও ভেকসিনেটর শহিদুল ইসলাম যাত্রীদের অবতরণ কার্ড পূরণ কাজে ব্যসত্ম ছিলেন৷ দায়িত্বশীল চিকিত্সকের খোঁজ করলে তারা জানান, এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা এখনও তাদের কাছে আসেনি৷তাত্ক্ষণিক চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “ইবোলা ভাইরাস” প্রতিরোধে যে স্বাস্থ্য পরীৰক টিমটি ছিল তারাই কাজ করছে৷ দর্শনার আনত্মর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে গিয়ে সোয়াইন ফ্লু বিষয়ক কোনো স্বাস্থ্য পরীৰক টিম পাওয়া যায়নি-এ প্রসঙ্গে জানতে তিনি দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুজ্জামান নূপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন৷
মোবাইল ফোনে ডা. হাসানুজ্জামান নূপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জোর দাবি করেন যে, দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দুটোতেই তাদের স্বাস্থ্য পরীৰক টিম আছে এবং তারা সেখানে কাজ করছে৷ ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কেউ নেই শুনে তিনি দ্রম্নত সেখানে মোটরসাইকেলযোগে হাজির হয়ে দেখেন কোনো দায়িত্বশীল চিকিত্সকই সেখানে নেই৷ এ সময় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে শনিবার থেকে দুটি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে “সোয়াইন ফ্লু” প্রতিরোধ বিষয়ক স্বাস্থ্য পরীৰক টিম রাখার নিশ্চয়তা দেন৷ তিনি বলেন, পালাক্রমে ডা. নাজমুল আরেফিন, ডা. রাকিবুল হাসান, ডা. আফজালুর রশিদ ও ডা. শাকিলা নাজনিন রিংকু সোয়াইন ফ্লু বিসত্মার রোধে স্বাস্থ্য পরীৰক হিসেবে কাজ করবেন৷দর্শনা আনত্মর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মীর লিয়াকত আলী জানান, সপ্তাহের প্রতি শুক্র, সোম ও বুধবার বাংলাদেশ থেকে মৈত্রী ট্রেন দর্শনা আনত্মর্জাতিক রেলস্টেশনে সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে যাত্রী নিয়ে ভারতে যায়৷ আর ভারত থেকে সপ্তাহের শনি, রবি ও মঙ্গলবার মৈত্রী ট্রেন দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট হয়ে ঢাকায় যায়৷তিনি জানান, সোয়াইন ফ্লু বিসত্মার রোধে এখানে কাউকে কাজ করতে দেখা যায় না৷ তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দু’একজনকে ইবোলা ভাইরাস সংক্রানত্ম একটি ব্যানার টানিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়৷ এর বেশি তিনি কিছু বলতে পারেননি৷