দৈনিকবার্তা-মানিকগঞ্জ, ২৪ ফেব্রুয়ারি: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় শিশুসহ আরো ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ জনে।বুধবার সকালে শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
স্বজনদের সনাক্ত করার জন্য মৃতদেহগুলো পাটুরিয়ার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যাত্রী ছাউনিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন দমকলবাহিনীর কর্মকর্তারা।উল্লেখ্য, রোববার পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার সময় একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় এমভি মোস্তফা-৩ লঞ্চটি। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ডুবে যাওয়া এমভি মোস্তফা-৩ লঞ্চের উদ্ধার কাজ সোমবার সকালে সমাপ্ত করা হয়। উদ্ধার করা হয় ৭০ জনের মৃতদেহ। এদের মধ্যে ৬৮ জনের পরিচয় সনাক্ত শেষে ৬৫ জনের মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়এবং নিখোঁজ ছিলেন ১৪ জন । পাটুরিয়ায় মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়ার ২০ ঘণ্টা পর পদ্মা পারাপারের লঞ্চ এমএল মোস্তফাকে টেনে তুলে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন। মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করে।পদ্মায় উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করা হলো। তবে তীরে আঞ্জুমান মুফিজুলের দুটি লাশবাহী গাড়ি থাকবে। যদি ডুবুরিরা কোনো লাশের সন্ধান পায়। ওই গাড়িতে লাশ বহন করা হবে। এ ছাড়া এ দুঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, লঞ্চ এবং কার্গো চালকের প্রতিযোগীতামূলক নৌযান চলানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রোববার বিকেলে এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তারাই তদন্ত করে এ ব্যপারে সিন্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি। রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে এমভি মোস্তফা প্রায় শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলদিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে এমভি নারগিস নামের একটি সারবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি উল্টে মাঝ নদীতে ডুবে যায়।