দৈনিকবার্তা-যশোর,২৩ ফেব্রুয়ারি: যক্ষানিয়ন্ত্রন কার্যক্রমঃ অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক গোলটেলিব বৈঠক সোমবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরের ভিআইপি কৰে অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এতে মিডিয়া কমর্ীসহ সরকারি-বেসরকারি ৫০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন৷ যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাত্ হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব সোহেল হাসান৷ বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রউফ,প্রেসক্রাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, নাটাবের সভাপতি অ্যাড. জাফর সাদিক, বিএমএর সভাপতি ডা. কামরুল ইসলাম বেনু,ও টিবি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মামুনুর রশিদ৷ গোল টেবিল বৈঠকে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. এমদাদুল হক৷
এছাড়া মুক্ত আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন সাংবাদিক ফখরে আলম, সাইফুর রহমান সাইফ, জাহিদ আহমেদ লিটন, প্রদীপ ঘোষ প্রমুখ৷ জাতীয় যৰা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, প্রেসক্লাব যশোর এবং ব্রাক এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে৷
বৈঠকে আলোচকবৃন্দ বলেছেন, যৰা রোগের প্রাদুর্ভাব বিশ্বের ২২ দেশের মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ৷ বিশেষকরে দৰিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়৷ সবচেয়ে বেশি যৰা রোগি এবং ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র হলো ভারত৷ সে দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান আরো ভাল৷ সরকার এবং ব্রাক যৌথভাবে যৰা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে৷ ইতোমধ্যে এর সুফল পেয়েছে জনগণ৷ সরকার এবং ব্রাকের বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে বিনামূল্যে যৰারোগের চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে৷ এখন প্রয়োজন জনগণকে সচেতন করা৷ তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি হলেই প্রত্যেকের উচিত্ ‘কফ’ পরীৰা করা৷ সারা দেশের স্বাস্থ্যকমর্ীদের সাথে সাংবাদ পত্র বা মিডিয়া কমর্ীরা একযোগে কাজ করলে যৰায় ঝুঁকিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব৷
অলোচকবৃন্দ আরো বলেছেন, ২০১৪ সালে যশোরে ৩ হাজার ২শ ৮৬জন যক্ষা রোগি ছিল৷ এর আগে ২০১৩ সালে যৰারোগে মারা গেছেন৷ বর্তমানে একজন যৰারোগিকে একটানা ৬ মাসের সেবা দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবয় ব্রাক৷ এর জন্য খরচ হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা৷ এর পুরোটা বহন করছে সরকার এবং ব্রাক৷ তাদের কার্যক্রমে যক্ষারোগির হার আসত্মেআসত্মে কমে আসছে৷ সকলে মিলে একযোগে কাজ করলে পোলিও মুক্ত বাংলাদেশের মতো যক্ষামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব৷পুরো অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান৷