Gopalgong_1_870821582

দৈনিকবার্তা-গোপালগঞ্জ, ২৩ ফেব্রুয়ারি: পদ্মার লঞ্চ ডুবির ঘটনায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক শিশুসহ তিন জন নিহত হয়েছেন৷ প্রিয়জন হারানো বেদনায় কান্নার রোল পড়েছে স্বজনদের৷ ভাড়ী হয়ে উঠেছে এলাকার আবাশ বাতাস৷ আর যাদের এখনো খোঁজ মেলেনি তাদের স্বজনদের ঠিকানা এখন পদ্মার পার৷ বাস কোম্পানীর হিসাব মতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কমফের্াট লাইনের সুপারভাইজারসহ ৪১ জন যাত্রী নিয়ে গোপালগঞ্জের দিকে আসছিলেন৷ লঞ্চ দূর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রীদেরকে তারা পরবতর্ীতে গোপালগঞ্জে নিয়ে আসেন৷ তবে নিহত বা নিখোঁজদের কোন তালিকা নেই গোপালগঞ্জের জেলা বা পুলিশ প্রশাসনের কাছে৷

পদ্মায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় মা-ছেলেসহ নিহত গোপালগঞ্জের তিনজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে৷ নিহতরা হলো, কাশিয়ানী উপজেলার আড়ুয়াকান্দি গ্রামের সোহরাব শেখের স্ত্রী রিনা বেগম (২৫), তার ১৩ মাস বয়সের ছেলে জুনায়েদ শেখ ও একই উপজেলার জোতকুরা গ্রামের লিটু মোল্যার স্ত্রী শাহারা বেগম (৪০)৷

নিহতদের বাড়ীতে গিয়ে জানাগেছে, ১৩ মাসের শিশু পুত্র জুনায়েদ শেখ ও স্ত্রী রিনা বেগমকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কাশিয়ানীর আড়ুয়াকান্দি গ্রামের সোহরাব শেখ৷ ছেলের জন্মের পরে এবারই প্রথম তাকে নিয়ে বাড়ি আসছিলেন তারা৷ নতুন অতিথিকে বরন করে নেবার জন্য বাড়িতে অপেক্ষায় ছিলেন বৃদ্ধা দাদি ও অন্যান্য স্বজনরা৷

কিন্তু, পদ্মায় লঞ্চ ডুবিতে এভাবে সনত্মান ও স্ত্রীকে হারাতে হবে-তাকি সোহরাব শেখ জানতে পেরেছিলেন? সনত্মান আর স্ত্রীর এভাবে করুন মৃতু্যর ঘটনায় এখন তিনি পাগল প্রায়৷ আর সেই সাথে বাড়ির লোকজনের আহাজারিতে পাড়া-প্রতিবেশীরাও চোখের জল আটকাতে পারছেন না৷ যাদের এখনো খোঁজ মেলেনি তাদের স্বজনদের ঠিকানা এখন পদ্মার পারে৷

রিনা আর জুনায়েদের মত একই ভাগ্য বরণ করে চলে যেতে হয়েছে একই উপজেলার জোতকুরা গ্রামের লিটু মোল্যার স্ত্রী শাহারা বেগমকে (৪০)৷ মেয়ে-ছেলে আর স্বজনদের কান্নার রোলে ভারী হয়ে উঠেছে এলাকার পরিবশে৷ যাবারও স্বান্তনা দিতে আসছেন তারাও ধরে রাখতে পারছেন না চোখের জল৷ এসব ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাইলেন এলাকাবাসী৷

নিহতদের লাশ ইতোমধ্যে গ্রামের বাড়িতে পৌছে গেছে৷ নিহতদের নামাজের জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে পারিবারিক কবর স্থানে৷