দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি: চলমান সন্ত্রাস-নাশকতা বন্ধ না করলে কোনো সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী। বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডিতে সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ৬ সদস্যের ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের এক বৈঠকে এসব কথা হয়। বৈঠক চলে বিকেল ৩টা ২০ থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
সহিংসতা ও সংলাপ এক সঙ্গে চলতে পারে না বলে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় উপ-কমিটির প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।আওয়ামী লীগ ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছে, দেশে সহিংসতা চলছে, যারা এমনটা করছে তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে না। এক সঙ্গে এই দুটি হয় না।
গওহর রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন- নির্বাচনের সময় যখন আসবে, তখন সবার সঙ্গেই কথা বলা যাবে, আলোচনা হবে। আমরা চাই দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু একটি নির্বাচন হোক। সে নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী ও গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে।তিনি বলেন, সহিংসতা, নাশকতা ও সংলাপ এক সঙ্গে চলতে পারে না। আগে নাশকতা, সহিংসতা বন্ধ হতে হবে। এসব বিষয়ে আমরা প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেছি।
এ সময় গওহর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের সময় আসলে তার আগে কথা বলা যাবে উল্লেখ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করাসহ নতুন নিয়ম হতে পারে। তবে তা অবশ্যই হতে হবে ডেমোক্রেটিক ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে বলেও জানান তিনি।নির্দলীয় সরকারের অধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি সংলাপ চাইলেও চলমান নাশকতা বন্ধ না হলে তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না বলে ইউরোপের সফররত প্রতিনিধি দলকে জানান আওয়ামী লীগ।
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিতে গত ৫ জানুয়ারি লাগাতার অবরোধ ডেকেছে, যাতে নাশকতায় এই পর্যন্ত টওায় ১০০ মানুষ মারা গেছেন।অবরোধ-হরতালে নাশকতার জন্য বিএনপি জোট তথা সরাসরি খালেদা জিয়াকে দায়ী করে তার সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দল ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দলকেও তাই জানানো হয়েছে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে গওহর রিজভীর সঙ্গে ছিলেন মসিউর রহমান, এইচ টি ইমাম, এম জমির, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, দীপু মনি, ফারুক খান, আবদুস সোজহান গোলাপ ও অসীম কুমার উকিল।
৬ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক উপকমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদা নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের কেউ কোনো কথা সাংবাদিকদের বলেননি।বিএনপি-জামায়াত জোটের লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে সোমবার ঢাকায় আসে এই প্রতিনিধি দলটি।মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন দলটি। বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে বৈঠক করেন তারা।
