দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি: স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী সহিংসতাকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন উল্লেখ করে বলেছেন, সহিংসতা গণতন্ত্র বা রাজনীতির অংশ হতে পারেনা ।সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার স্পিকার এবং সিপিএ চেয়ারপার্সনের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক সাব-কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিয়ান ড্যান প্রেদার নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্য হলেন সংসদ সদস্য জোসেফ ওয়েডেইনহোলজার ও ক্যারল কারস্কি ।সাক্ষাতকালে তারা দ্বি-পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন। এছাড়া তাঁরা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সাক্ষাৎকালে স্পিকার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের দীর্ঘ দিনের বন্ধু ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তৈরি পোষাক শিল্পকে আরো উন্নত করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, তৈরি পোষাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। এই খাতে কর্মরতদের ৮০ শতাংশই নারী। এই নারীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। তাই সরকার তাদের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ সৃষ্টি, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা প্রদান, আবাসিক সুযোগ সুবিধাসহ ডে কেয়ার সেন্টার, দুগ্ধ-মাতা (ল্যাক্টেটিং মাদার) ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করে চলেছে।
স্পিকার বলেন, নারী অধিকার মানবাধিকারেরই অংশ। সকল নীতিমালা ও আইন নারী সংবেদনশীল করে তৈরি করে নারীকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে বাংলাদেশ সকল ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সামাজিক ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার হ্রাস এবং বাল্যবিবাহ রোধে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।
মানবাধিকার বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, সহিংসতা গণতন্ত্র বা রাজনীতির অংশ হতে পারে না। সহিংসতা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।প্রতিনিধিবৃন্দ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উভয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।