দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণ সন্তুষ্ট এবং দেশের সব স্বাভাবিক আছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, সরকারের কর্মকাণ্ডে জনগণের মনে অসন্তোষ নেই। অসন্তোষ খালেদা জিয়ার মনে এবং তাঁর দোসর জামায়াত-শিবিরের মনে।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, দানবের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না। যারা সংলাপের কথা বলে তারা হত্যাকারীদের রক্ষা করতে চায়। সংলাপের প্রশ্নই ওঠে না, সংলাপ কোনোভাবেই হবে না।
মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডিতে ১৪ দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় ায় নাসিম এসব কথা বলেন।আগামী ২০ ফেব্র“য়ারি গণমিছিল কর্মসূচির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ সভার আয়োজন করা হয়। নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা করছেন, সাধারণ মানুষদের পুড়িয়ে মারছেন। নারী-শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বিএনপি-জামায়াত চক্রের একমাত্র অ্যাজেন্ডা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা। গণমানুষকে সংগঠিত করে এদের রুখে দেব আমরা। ৭১র পরাজিত শক্তি আবারও পরাজিত হবেই। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, জনগণের দাবি অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি। সে বিচার বানচালের জন্য খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে সহিংসতা হচ্ছে। জনগণের শক্তি নিয়েই এদের মোকাবিলা করা হবে। তিনি বলেন, যাঁরা সংলাপের কথা বলেন তাঁরা সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে চান। ওদের (বিএনপি) সঙ্গে কখনোই সংলাপ হবে না। সংলাপের কথা বলে ওরা সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে চায়।
নাসিম বলেন, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা দেশ পরিচালনা করছি। দেশের সব স্বাভাবিক। কোথাও হরতাল হচ্ছে না। আমি নিজেও আজকে জ্যামে আটকা পড়েছিলাম। আসলে খালেদার লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করা। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, শেষ হবেই।এ সময় আগামী ২০ ফেব্র“য়ারি দেশব্যাপী ১৪ দলের গণমিছিল কর্মসূচিতে সর্বস্তরের মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান নাসিম। সভা শেষে ১৪ দলের মুখপাত্র মো. নাসিম গণমিছিল সফল করতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপির সহিসংতার বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই তাদের ভরসা। চলমান সহিংসতা বন্ধে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে তদবির করতে সুশীল সমাজের প্রতিও তারা আহ্বান জানান জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু। একাত্তরের ঘাতকদের রক্ষা করাই এখন বিএনপির মূল এজেন্ডা— যারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশে সভা সমাবেশ করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ১৪ দল নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা নুহু উল আলম লেলিন, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, দীপু মণি, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাসদ নেতা শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাম্যবাদী দলের নেতা দিলীপ বড়ুয়া, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাধারাণ সম্পাদক ডা. কামরুল হাসান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার, শিল্পী ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী প্রমুখ।