দৈনিকবার্তা-গাইবান্ধা, ১৭ ফেব্রুয়ারি: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে র্যাবের গুলিতে মোস্তফা মঞ্জিল (৩০) নামে এক শিবির কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি গাইবান্ধা সদরের সাহাপাড়া ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের জসিজার মাস্টারের ছেলে এবং নাপু এন্টারপ্রাইজে পেট্রোল বোমা হামলা মামলার প্রধান আসামি।মঙ্গলবার ভোরে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে উপজেলার বুড়ির ঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক (এডি) আশরাফ হোসেন ছিদ্দিক দাবি করেন, ভোর ৫টার দিকে র্যাবের একটি টহল দল গাইবান্ধা ক্যাম্পে ফিরছিল। পথে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের বুড়ির ঘর এলাকায় র্যাবের গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ও গুলি ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় মোস্তফা গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
র্যাবের দাবি, ঘটনাস্থল থেকে সাতটি পেট্রোল বোমা, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি দেশি বন্দুক, ও তাদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নাপু এন্টারপ্রাইজের বাসের পেট্রল বোমা হামলায় ৮ জন নিহতের মামলার প্রধান আসামি ছিলেন মোস্তফা মঞ্জিল।র্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক আশরাফ হোসেন সিদ্দিক জানান, মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে পলাশবাড়ীর বুড়িরঘর এলাকায় গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।নিহত মোস্তফা মঞ্জিল (৩২) শিবিরকর্মী ছিলেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের মীরপুর গ্রামে।
পলাশবাড়ী থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, নিহতের শরীরে একাধিক গুলি লেগেছে। খবর পেয়ে সকালে লাশ উদ্ধার করে গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।গাইবান্ধা সদর থানার ওসি রাজিউর রহমান বলেন, নিহত মোস্তফা শিবিরের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ৬ ফেব্র“য়ারি গাইবান্ধার তুলশীঘাটে পেট্রোল বোমা ছুড়ে আট বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যাসহ ২৩ জনকে দগ্ধ করার মামলার এক নম্বর আসামি মোস্তফার বিরুদ্ধে সদর থানায় নাশকতার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধের মধ্যে গত ৬ ফেব্র“য়ারি রাত ১১টার দিকে তুলশীঘাট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ঢাকাগামী নাপু পরিবহনের বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চার জন দগ্ধ হয়ে মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরো চার জনের।গত ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া লাগাতার অবরোধ ও কয়েক দফার হরতালে রাজধানীসহ দেশব্যাপী নাশকতার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৮০ ছাড়িয়ে গেছে, যারা প্রায় সবাই পেট্রোল বোমার আগুনে দগ্ধ হয়েছিলেন।