সৈয়দ আশরাফ

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন রাজধানীর রায়ের বাজারে আরও একটি কবরস্থান করা হচ্ছে। এ কবরস্থানটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ কবরস্থান। সংসদে এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন তিনি।মন্ত্রী জানান, রায়ের বাজারের কবরস্থানটিতে লক্ষাধিক কবর সংস্থানের সুযোগ রয়েছে। কবরস্থানটি নির্মাণ করতে ৫৪৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেই এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

একই প্রশ্নকর্তার অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শহর এলাকায় পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল এবং বিদ্যমান অনেক পাবলিক টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী। এছাড়া দুর্বল ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে এগুলো নারী ও প্রতিবন্ধী বান্ধব নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে ঢাকা শহরে স্যানিটেশন চাহিদা মেটানো এবং সামগ্রিক জনস্বাস্থ্যের উন্নতিকল্পে নারী-পুরুষ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রেখে ঢাকা শহরে পাবলিক টয়লেটগুলো মেরামত, পুনঃনির্মাণ ও সম্ভাব্য নতুন স্থানে নতুন টয়লেট নির্মাণের জন্য ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা ও বেসরকারি সংস্থা ওয়াটার এইড বাংলাদেশের সাথে সমঝোতো স্বাক্ষর হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা শহরে ৩০টি অত্যাধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ চলছে।

তিনি সংসদে সরকারি দলের মোঃ তাজুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে সরকার বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।মন্ত্রী বলেন, সর্বশেষ জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রাম-২০১৪ এর জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা শতকরা ৯৭ ভাগ। এর মধ্যে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা শতকরা ৫৭ ভাগ এবং শেয়ারড ল্যাট্রিন ব্যবহারকারী পরিবারের সংখ্যা শতকরা ২৮ ভাগ। বর্তমানে খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগকারী পরিবারের সংখ্যা শতকরা ৩ ভাগ।

তিনি বলেন, সকলের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাধা অনেক। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ স্যানিটেশন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে প্রতিনিয়ত বাধাগ্রস্ত করছে। দেশজুড়ে স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও অঞ্চলভিত্তিক সমস্যা এখনও রয়ে গেছে। অর্থাৎ সব অঞ্চলে স্যানিটেশন ব্যবস্থা সমভাবে উন্নয়ন করা সম্ভবপর হয়নি।মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি দুর্গম এলাকায় বিশেষ করে চর, হাওর, নদীভাঙ্গনপ্রবণ জনপদ, চা-বাগান, পাহাড়ী অঞ্চল ও শহরের বস্তি এলাকার স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে কৌশলপত্র প্রণয়ন করে প্রকল্প গ্রহণের কাজ শুরু করেছে।তিনি বলেন, শতভাগ স্যানিটেশন অর্জনের লক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য স্তানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের অনুকূলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা থেকে বরাদ্দ খাতে শতকরা ২০ ভাগ পর্যন্ত বরাদ্দ রাখা হয়েছে।