ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া -2

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৫ফেব্রুয়ারি: সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক বলেছেন,দেশের চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধের উপায় হলো সংলাপ। পৃথিবীর যত জায়গায় সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটি সংলাপের মাধ্যমেই সমাধান হয়েছে।রোববার সুপ্রিমকোর্টে তার চেম্বারে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তার মতে, সমস্যার সমাধানের জন্য সংলাপ অপরিহার্য।

তিনি বলেন,সব সময় দেখবেন,পৃথিবীর সবখানে সংলাপ করে সমস্যার সমাধান হয়েছে।এখন জাতিসংঘ তারানকোকে পাঠাচ্ছে। কারণ, জাতিসংঘ বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন,বর্তমান অবস্থায় সরকার পক্ষ কোনো সমস্যা মনে না করলেও আমার কাছে সমস্যা মনে হচ্ছে। আমরা পয়লা ফাল্গুন পালন করছি। আবার ভ্যালেইন্টাইন ডে করছি। মানুষও পোড়াচ্ছি। এগুলো তো এক সঙ্গে চলতে পারে না। সন্ত্রাস, অবরোধ-হরতাল এগুলো বন্ধ করতে হবে। এগুলো বন্ধ না করলে সমাধান হবে না। বর্ষীয়ান এই আইনজীবী বলেন, সংঘাতও বন্ধ করতে হবে, আবার সংলাপও করতে হবে। শুধু দুই নেত্রী নয়, সুধী সমাজের সঙ্গেও কথা বলতে হবে।

চলমান অবস্থার নিরসন করতে কে সংলাপের উদ্যোগ নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা সরকারে আছে, তাদের উদ্যোগ নেয়া উচিত। কারণ সরকারে যারা আছেন তাদের দায়িত্ব বেশি।

মূলত গত শনিবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপ শীর্ষক আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে আলোচনায় আসে নাগরিক সমাজ।

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে নিজ উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কোনো প্রস্তাব নিয়ে যাবে না অরাজনৈতিক কমিটি। কেউ যদি তাদেরকে চান তা হলেই তারা যাবে না। শংকা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলনে আর বলা হয়, সমস্যার সমাধান না হলে, বিকল্প নেতিবাচক শক্তির উত্থান ঘটতে পারে।সহিংসতা বন্ধ করে সংলাপের পরিবেশ তৈরি করতে হবে আর তা করতে হবে সমান্তরালভাবে বলে মন্তব্য করেননাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ড. এটিএম শামসুল হুদা ।

গত শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে কমিটির শীর্ষ নেতা শামসুল হুদা এ কথা জানান।প্রসঙ্গত: দেশের চলমান সঙ্কট নিরসন ও জাতির কাছে তার সমাধান তুলে ধনার জন্য অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা এর নেতৃত্বে রয়েছেন।শামসুল হুদা বলেন, শান্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। সন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে কিভাবে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। আমরা চাই, অবিলম্বে সন্ত্রাস বন্ধ এবং আলোচনা করতে হবে।

নবগঠিত কমিটির কোন নাম দেয়া না হলেও টিকে একটি অরাজনৈতিক নাগরিক সমাজ বলা যেতে পারে বলে তিনি জানান।এ কমিটির মধ্যে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে যারা আছেন এবং আসবেন তারা কেউ সরাসরি রজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কেউ দেশে এবং কেউ দেশের বাহিরে আছেন। যাছাই বাছাই করে এ কমিটি আরো বড় করা হতে পারে।তিনি বলেন, দেশে আজ এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থা থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরণের মাধ্যমে জনগণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে আগ্রহী।