দৈনিকবার্তা-পাবনা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: পাবনা সদর উপজেলার হিমায়েতপুর গ্রামে শ্বাশুড়ির দেয়া আগুনে দুই সন্তানের জননী মুক্তি খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূ পুড়ে মারা গেছে। রোববার ভোররাত তিনটার দিকে এই ঘঁনা ঘটে। মুক্তি খাতুন পাবনা পৌর এলাকার নারায়নপুর জামাইপাড়ার জসিম উদ্দিনের মেয়ে ও হিমায়েতপুর গ্রামের মহব্বত আলীর স্ত্রী।
পাবনা সদর থানার সহকারি উপপরিদর্শক (এমসআই) আরিফ হোসেন জানান, ৮/৯ বছর আগে মুক্তি থাতুনের সাথে মহ্ব¦ত আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মুক্তির উপর যৌতুক দাবীসহ নানা কারণে অমানুসিক নির্যাতন চালাতো। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মুক্তির হাত পা ও মুখ বেঁধে তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে তার শরীর ঝলসে গেছে। প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার অবণতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সকাল ৮ টার দিকে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। ঢাকায় নেবার পথে গৃহবধু মারা যান।
গৃহবধূ মুক্তির পরশ(৬) ও আরশ(৪) নামের দুটি সন্তান রয়েছে। তবে মুক্তির বাবা মনসুর আলী এ ঘটনার জন্য মুক্তির শ্বশুর শ্বাশুড়িকে দায়ী করছেন। ঘটনার পর থেকে মুক্তির শ্বশুর শ্বাশুড়ি দেবরসহ বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে মুক্তির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।