দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন,অবরোধ-হরতাল রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। রাষ্ট্রবিরোধী, জনবিরোধী আন্দোলন। এর জন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জার্নি নামের একটি সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিয়ে খালেদা জিয়া নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছিলেন। নির্বুদ্ধিতার প্রায়শ্চিত্ত কি জ্বালাও- পোড়াও? আমি মনে করি, এর প্রায়শ্চিত্ত রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া।খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিতাড়নই সমস্ত সমস্যার সমাধান বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, হরতাল-অবরোধের নামে যা চলছে, সেটা কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন হতে পারে না। এটা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে আন্দোলন।এ আন্দোলনের কোনো এজেন্ডা নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা পদত্যাগ করুন, নির্বাচন দিন এটা কোনো এজেন্ডা হতে পারে না।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখছি, খালেদা জিয়া এটি সহ্য করতে পারছেন না। তাই তিনি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল হলেও সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে তারা রাজনৈতিক দলের সত্ত্বা হারাতে বসেছে বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, সন্ত্রাসীর সঙ্গে আলোচনা করে কোনো সমাধান নয়। তাদের অন্যায় স্বীকার করতে হবে, এরপর আন্তর্জাতিক উদ্যোগে আলোচনা হতে পারে। এর আগে আমাদের পক্ষ থেকে সাড়া দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমি প্রকাশ্যে বলতে পারি, চৌধুরী মাইনুদ্দীনের টাকায় খালেদা জিয়ার আদেশে বোমা হামলা চলছে। নাগরিক সমাজ সহিংসতা বন্ধে প্রেসক্রাইব করছে, তারা তো জানেই না, কারা কী করছে।সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক। প্রবন্ধে বলা হয়, শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অক্ষুন্ন রাখতে চলমান সহিংসতা বন্ধ ছাড়া উপায় নেই।
বিশ্ব শিক্ষক ফেডারেশনের সভাপতি মাহফুজা খানমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এস এম এ ফায়েজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ প্রমুখ।