1423833394.

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি: মায়ানমারের উত্তরাঞ্চলে চীন সীমানত্মের কাছে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ৪৭ সৈন্য নিহত হয়েছে৷ এটা দেশব্যাপী অস্ত্রবিরতির সরকারের আশার ওপর সর্বশেষ আঘাত৷গ্লোবাল নিউ লাইট অব মায়ানমার জানায়, ৯ ফেব্রুয়ারি শান রাজ্যের কোকাং অঞ্চলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়৷ জাতিগত চীনা বিদ্রোহীদের সঙ্গে সৈন্যদের চার দিনের এই সংঘর্ষে এই সৈন্যরা নিহত হয়৷পত্রিকাটি এর ইংরেজি সংস্করণে জানিয়েছে, এ পর্যনত্ম সংঘর্ষে ৪৭ সৈন্য নিহত ও ৭৩ জন আহত হয়েছে৷ এছাড়াও এতে সৈন্যদের ৫টি গাড়ি ধ্বংস হয়েছে৷

বৃহস্পতিবার কংইয়ান এলাকার কোকাং বিদ্রোহীদের ২০০ সদস্যের একটি শক্তিশালী বাহিনী সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়৷ তারা সৈন্যদের সদরদপ্তর লৰ্য করে গোলা বর্ষণ করে৷ সেনাবাহিনীও বিদ্রোহীদের লৰ্য করে পাঁচটি বিমান হামলা চালায়৷সরকার যখন একটি শানত্মি চুক্তির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে শান রাজ্যের কোকাং এলাকায় এই সংঘাত সরকারের জন্য একটি অশুভ সংকেত হিসেবে দেখা দিয়েছে৷ প্রায় ছয় বছর শানত্ম থাকার পর অঞ্চলটিতে আবার নতুন করে এই সংঘর্ষ শুরম্ন হলো৷চীনের ইউনান প্রদেশের সঙ্গে মায়ানমারের সীমানত্মে কয়েক বছর আগের ওই লড়াই চলাকালে হাজার হাজার মানুষ সীমানত্ম পাড়ি দিয়ে চীনে পালিয়ে যায়৷ এই ঘটনায় মায়ানমারের তত্‍কালীন সামরিক জানত্মা শাসকের দীর্ঘদিনের মিত্র বেইজিং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে৷

সৈন্য ও সশস্ত্র জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের সঙ্গে এই সংঘর্ষ শানের অন্যান্য অংশ ও কাচিন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে৷ এটা সরকারের দেশব্যাপী অস্ত্রবিরতি চুক্তি করার যে প্রচেষ্টা তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বিলম্বিত চুক্তিটিতে স্বাক্ষর হতে পারে বলে মায়ানমার আশা করেছিল৷ওই দিন রাজধানী নাইপিদোতে বার্ষিক ইউনিয়ন দিবস উদযাপিত হয়৷