Muhid

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি: খালেদা জিয়ার দুর্বুদ্ধিতে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত৷ অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে বাজেট বড় হওয়া দরকার৷ আগে (বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে) প্রয়োজন অনুযায়ী সে বাজেট বাড়ানো হয়নি৷ খালেদা জিয়ার দুর্বুদ্ধির কারণে দেশে উন্নয়ন হয়নি৷

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার অডিটরিয়ামে বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন৷আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেশের প্রত্যনত্ম অঞ্চলের মাঠ পর্যায় পর্যনত্ম বেতারের শ্রোতা থাকায় প্রযুক্তির উত্‍কর্ষের এই যুগেও এটি একটি কার্যকরী এবং অত্যনত্ম শক্তিশালী সম্প্রচার মাধ্যম৷

অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের প্রেৰাপটে আমাদের দেশের প্রত্যনত্ম অঞ্চল ও তৃণমূল পর্যায় পর্যনত্ম বেতারের শ্রোতা থাকায় এটি সমাজ বিনির্মাণের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়৷ প্রত্যনত্ম অঞ্চলের জনগণের সঙ্গে সরকার ও রাষ্ট্রের যোগাযোগের ৰেত্রে এটি অনেক সময়ই সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে৷ তাই মোবাইল ও টেলিভিশন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বর্তমানকালে বিপস্নব ঘটালেও বেতার, তার অবস্থানকে অটুট রাখতে পেরেছে৷

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আকতারুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ এমপি, অ্যাডভোকেট তারানা হালিম এমপি ও তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ৷আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বক্তৃতায় মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বাংলাদেশ বেতারের গৌরবজ্জ্বল অতীতের বিভিন্ন স্মৃতি রোমস্থন করেন৷

তিনি বলেন, বেতারে সম্প্রচারিত দেশিয় ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, শিৰা, স্বাস্থ্য, আবহাওয়া বিষয়ক সংবাদ ও অনুষ্ঠান যেমন আমাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করে তেমনি এর সঙ্গীত, নাটকসহ বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচারও আমাদের অপরিসীম আনন্দ দেয়৷

অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেন, বেতারের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ গৌরবগাঁথা তুলে ধরতে হবে৷ তাহলেই দেশের নতুন প্রজন্ম দেশের সঠিক ইতিহাস জানার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে৷

তিনি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দেশের শিল্পী সমাজকে দেশে চলমান সন্ত্রাসের বিরম্নদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার জন্যও আহবান জানান৷তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ বলেন, একটি সুপ্রাচীন ও অত্যনত্ম শক্তিশালী গণমাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশ বেতার প্রানত্মিক জনগোষ্ঠীর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রাপ্তি ও বিনোদনের মাধ্যম৷তিনি বিশ্ব বেতার দিবস উদযাপনের সফলতা ও বাংলাদেশ বেতার ভবনের সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, বেতার সবসময়ই এদেশের গণমানুষের পাশে রয়েছে৷ আগামী দিনেও বেতার বাংলাদেশের জনগণের সাথে থাকবে৷

‘যুব ও বেতার’ শীর্ষক প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের বিশ্ব বেতার দিবস উপলৰ্যে আগারগাঁওস্থ বেতার ভবনে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার, পুরনো রেডিও সেটের প্রদর্শনী প্রভৃতি৷