আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি: আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,নাগরিক সমাজের একটি অংশ বোমা হামলাকারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা বলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছেন। যারা আলোচনার কথা বলছেন তাদের অনেকেই ১/১১এর কুশীলব।ড.হাছান মাহমুদ বুধবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে দলের অবস্থান তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, নাগরিক কমিটির এই আহ্বানের মাধ্যমে নৃশংস পেট্রোল বোমা হামলাকারী, মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী এবং এই হত্যাকারীদের নেত্রী খালেদা জিয়া ও অন্যান্য নেতাদের জঘণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধকেই আড়াল করা হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও দু®কৃতিকারীদের সাথে কেউ আলোচনায় বসে না। দু®কৃতিকারীদের দমনই করা হয়।

তিনি বলেন,বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে অবরোধ-হরতালের নামে বাংলাদেশের মানুষের উপর নৃশংস আক্রমণ পরিচালনা করে চলেছেন। তার নেতৃত্বে হরতাল-অবরোধের আহ্বানে দেশের জনগণ বিন্দুমাত্র সাড়া দেয়নি। তার আন্দোলনের ডাকে সাড়া না দেওয়াতেই তিনি এবং তার জোটের নেতারা যেন হিংস্র হায়েনার চেয়েও ভীবৎস্য জঘণ্যরূপে মানুষের সামনে আবির্ভূত হয়েছে। তিনি এখন জনাতঙ্কের নেত্রী কিংবা পেট্রোল বোমা নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন।

তিনি বলেন,বিএনপি-জামায়াত জোট প্রকৃত পক্ষে এখন পরিপূর্ণভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনের মতো জঙ্গি জোটে রূপান্তরিত হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনগুলো যেমন গোপন জায়গা থেকে বিবৃতি দেয়, বিএনপি এখন তাই করছে। জঙ্গি এবং নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো যেভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের উপর হিংস্র হামলা পরিচালনা করে, তারাও এখন তাই করছে।

এসএসসি পরীক্ষাকে টার্গেট করে অবরোধের পাশাপাশি দিনের পর দিন হরতাল ডাকছে বিএনপি-জামায়াত জোট। এটা করে তারা পরিপূর্ণভাবে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের মতো জঙ্গি জোটে রূপান্তরিত হয়েছে। জঙ্গি সংগঠনগুলো যেভাবে গোপন স্থান থেকে বিৃবতি দেয়, ভিডিও প্রকাশ করে, বিএনপিজোটও তাই করছে।

তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠনগুলো তৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরীহ- নিরস্ত্র মানুষের ওপর হামলা করে।তারাও এখন তাই করছে।এভাবে হামলা করে এরইমধ্যে তারা ৮০জনের বেশী মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।নাগরিক সমাজের ব্যানারে সম্প্রতি সংলাপ প্রস্তাব নিয়েও কথা বলেন সাবেক এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের একটি অংশ এই দুষ্কৃতিকারী, বোমা হামলাকারীদের সঙ্গে আলোচনার কথা বলছেন, যারা এ আলোচনার কথা বলছেন তাদের অনেকেই ১/১১ এর কুশীলব। এদের উদ্দেশ্য ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। তাদের এই আহ্বানের মাধ্যমে নৃশংস পেট্রোল বোমা হামলাকারী, মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী ও তাদেও েেনত্রী খালেদা জিয়া ও অন্যান্য নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধকেই আড়াল করা হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও দুষ্কৃতিকারীদের সঙ্গে কেউ আলোচনা করেনা। তাদের দমনই করা হয়।

নিউইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির কেন্দ্রিয় নেতা সাদেক হোসেন খোকার সম্প্রতি করা মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাদেক হোসেন খোকা ওই কথা বলে প্রকৃতপক্ষে বিএনপি যে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে তার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। এজন্য তাকে ধন্যবাদ।সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, স্বাস্থ্য সম্পাদক বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় সদস্য এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী।