দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি: এনকাউন্টারের ঘটনা ইচ্ছা করে ঘটেনা, পরিবেশ পরিস্থিতির কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান মিয়া।এ ধরনের পরিস্থিতি আবারো হলে এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিতে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের পুরস্কার দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পুরস্কার পাওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনই ছাত্রলীগের নেতা।ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া দাবি করেছেন, অবরোধ-হরতালে নাশকতার কারণে যে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি প্রত্যাশার চেয়ে ও বেশি উন্নতি হয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে দেওয়া এই পুরস্কার পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ, জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান, এ এফ রহমান হলের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ও রিকশাচালক মোজাম্মেল হোসেন।
এই চারজনকে ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তবে কাকে কী পরিমাণ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, তা জানানো হয়নি।ডিএমপির দেওয়া পুরস্কারের বাইরে এক ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে রিকশাচালক মোজাম্মেলকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার দাবি করেন, ৫ জানুয়ারি থেকে অবরোধ ও হরতালে যে নাশকতা চালানো হয়েছিল, তা আগের চেয়ে কমে এসেছে।আছাদুজ্জামান জানান, অবরোধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীতে ১১টি যানবাহন ভাঙচুর ও ১৬৮টি যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতায় ৪৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। দুজন পুলিশ ও এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। ডিএমপির কমিশনার বলেন, আমরা চাই দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকই এমন সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসুক। তাহলে আর রাজধানীতে নাশকতা বা সহিসংসতার বলি হয়ে কাউকে প্রাণ হারাতে হবে না।
ডিএমপির কমিশনারের ভাষ্য, রাজধানীতে ককটেল- পেট্রলবোমা ছোড়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে ১৮৬ জন। এর মধ্যে ১০২ জন বিএনপির ও ৮৪ জন জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।ঢাকা মহানগর পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তার ভাষ্য, অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত এক হাজার ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।