ওস

দৈনিকবার্তা-সিলেট, ১১ ফেব্রুয়ারি: সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ১০ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে সিলেটে পৌঁছেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত দল। ওই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত দল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে হাসপাতালে তদন্তের কাজ শুরু করেছেন।তদন্ত দলটি প্রথমে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুস সবুর মিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন। বেলা ১টার দিকে তারা হাসপাতালের ২১, ২২ ও ২৩ নং শিশু ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। এখনো তারা হাসপাতালে অবস্থান করছেন।

ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. এম এ সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইসমাঈল পাটোয়ারীর নেতৃত্বে তাদের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত দলও কাজ শুরু করেছে। মন্ত্রণালয় ও হাসপাতাল গঠিত কমিটি সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্ত দলের অন্য দুই সদস্য হলেন- স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক (হাসপাতাল ও নার্সিং) সামিউল ইসলাম সাদী ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. আবির হোসেন রাব্বি।প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্ধ্যার পর থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ শিশুসহ ৩২ জনের মৃত্যু হয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শিশুসহ ৩২ জনের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে অধিক হারে মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পরিদর্শন শেষে ডা. আবির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মারা যাওয়া রোগীদের কাগজপত্র, ব্যবস্থাপত্র দেখেছি। সেখানে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখেছি।

অবহেলার কারণে একসঙ্গে এত মৃত্যু হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জানিয়েছে।প্রাথমিকভাবে কোনো অস্বাভবিকতা পাওয়া গেছে কি না- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ডা. আবির বলেন, তদন্ত চূড়ান্তভাবে শেষ করেই বলা যাবে, এর আগে নয়।ওসমানী মেডিকেলে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ১০ শিশুর সঙ্গে মোট ২২ জন রোগীর মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন রোগীদের স্বজনরা।

ঘটনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।ঘটনা তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও একটি কমিটি গঠন করেছে।হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইসমাঈল পাঠোয়ারীর নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটিও কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক সবুর মিঞা।তিনি বলেন, এ কমিটিতে আরও তিন জনকে যোগ করে ছয় সদস্যে উন্নীত করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন- হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান মনজ্জির আলী, আবাসিক চিকিৎসক রঞ্জন কুমার রায়, সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান দেওয়ান আলী হাসান চৌধুরী, গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক দিলীপ কুমার ভৌমিক ও শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মসিহ উদ্দিন চৌধুরী।এই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।