বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. মার্গারেট চ্যান

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ডা. মার্গারেট চ্যান আবারো বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে ‘ইউনিভার্সাল হেল্থ কভারেজ : দ্য পোস্ট-২০১৫ চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন মার্গারেট চ্যান।

তিনি বলেন, অনুর্দ্ধ পাঁচ বছরের শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়ন, টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সূচকের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অভাবনীয়। বাংলাদেশে সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে একটি বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে যেখানে নারীর ভূমিকাও চোখে পড়ার মতো। ফলে পরিবার পরিকল্পনা, টিকাদান, ডায়ারিয়া নিয়ন্ত্রণ, ভিটামিন-এ খাওয়ানোর কর্মসূচিগুলো ব্যাপক সাফল্য পাচ্চে।

এসময় বিশ্বখাতে ল্যানসেট সাময়িকীর দৃষ্টান্ত তুলে ধরে মার্গারেট চ্যান বলেন, দারিদ্র সংশ্লিষ্ট সংক্রামক রোগ, পুষ্টিহীনতা এবং প্রসূতিকালীন স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশের সফলতা অনেক দেশের জন্য উদাহরণ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের বক্তৃতার পরপরই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মঞ্চে উঠে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি অনুরোধ করেন।

সম্মেলনে ফিনল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই,থাইল্যান্ড,মায়নমার এবং ভিয়েতনামের মন্ত্রী এবং অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, সৌদি আরব এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নিচেছন। সম্মেলনে সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ এর অর্থায়ন, ভৌত অবকাঠামো, জনবল, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিন লুং আজ মঙ্গলবার সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগামী বুধবার সম্মেলনে বাংলাদেশের সাফল্য ও অবস্থান সম্পর্কে বক্তৃতা করবেন। এর আগে সকালে মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে সহযোগিতা করার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।