দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি: ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকে চিরতরে প্রতিহত করতে দেশের মানুষ মাঠে নেমে এসেছে। তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মাঠে নেই। তাই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে তারা ক্ষমতায় যেতে চায়।বিএনপির এ উদ্দেশ্য সফল হবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীদের দমন করার জন্য সরকারের যতটুকু কঠোর হওয়ার দরকার, সরকার ততটুকু কঠোর হবে।
মায়া মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম গেটে বিএনপি জামায়াতের হরতাল-অবরোধের নামে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে আওয়ামী সমর্থক জোট আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জোটের চেয়ারম্যান আব্দুল হক সবুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, দফতর সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিলন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক নজীব উদ্দিন ও বিশিষ্ট অভিনেতা মিজু আহম্মেদ প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, হরতাল-অবরোধ ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন।তিনি বলেন, দেশের মানুষ বিএনপির সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসেছে। গণপ্রতিরোধের মুখে বিএনপির সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে। মায়া বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের রাজপথ দখলে রেখে বোমাবাজদের ধরে গণধোলাই দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে সোপর্দ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মায়া বলেন, ২০১৯ সালের আগে দেশে কোন সাধারণ নির্বাচন হবে না। দেশের সংবিধান অনুয়ায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।এ বিষয়ে তিনি বলেন, যারা সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন- তাদের আমরা সাধুবাদ জানাবো। আর যারা সে নির্বাচনে অংশ নেবেন না, তারা বেগম খালেদা জিয়ার মতো অফিসে বসে বসে কাঁদবেন।বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার উদ্দেশে মায়া বলেন, বিদেশে বসে মাতব্বরি না করে দেশে আসুন। ঢাকায় আসুন, রাজপথে মোকাবেলা করি।