দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় অপরাধী প্রত্যার্পণ চুক্তিটি সম্পাদনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ আহ্বান জানান। সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক করেন তারা। মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এ চুক্তি সম্পাদিত হলে দেশটিতে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি রাশেদ চৌধুরী এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফুজ্জামান খানকে ফেরত আনা সহজ হবে। বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টি উত্থাপন করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নিয়মিত অনুষ্ঠিত বার্ষিক সংলাপ, অংশীদারিত্ব সংলাপ, নিরাপত্তা সংলাপ, সামরিক সংলাপ এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো (টিকফা) কাউন্সিল সভার মতো আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বর্তমানে একটি শক্ত কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়েছে।গত বছরের (২০১৪) অক্টোবরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় পার্টনারশিপ ডায়ালগ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিরাজমান সম্পর্ককে আরও গভীর, সম্প্রসারিত ও জোরদার করেছে বলেও মনে করেন তিনি।শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বাধিক অবদানকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি শিল্প, অবকাঠামো, সেবা খাত এবং উচ্চতর প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পে বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে জানান।এ সময় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালীকরণ, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় জাতীয় কৌশল এবং শান্তিরক্ষা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশংসা করেন শাহরিয়ার আলম।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ পাওয়ায় মার্শা বার্নিকাটকে অভিনন্দন ও স্বাগত জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী আশা করেন, তার (মার্শা বার্নিকাট) কর্মকালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক সামনের দিনগুলোতে আরও জোরদার ও সম্প্রসারিত হবে বলেও মনে করেন তিনি।বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।গত ২৫ জানুয়ারি ড্যান ডব্লিউ মজীনার স্থলাভিষিক্ত হয়ে ঢাকায় আসেন বার্নিকাট। এরপর ৪ ফেব্র“য়ারি রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।ঢাকায় আসার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই বার্নিকাটের প্রথম সাক্ষাৎ।