দৈনিকবার্তা-ঢাকা ৯ ফেব্রুয়ারি: শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।তিনি প্রকৃত সুশিক্ষা অর্জনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, তথ্য, প্রযুক্তির যুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখায় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই আমাদেরকে আধুনিক ও বিশ্বমানের শিক্ষা এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ সোমবার রাজধানীর বাারিধারাস্থ বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার-২ এর কনফারেন্স কক্ষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তিনি এই অনুষ্ঠানে কৃর্তী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।শিক্ষামন্ত্রী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে উন্নয়নের অন্যতম খাত হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ১ হাজার ৬শ’ ৩২ জন বিদেশী শিক্ষার্থী এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত রয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের তরুণরাই আগামী দিনে নেতৃত্ব দিবেন। তারাই জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাকে আরো বিকশিত করবেন।চলতি বছরে ৪ কোটি ৪৪ লাখ শিক্ষার্থীদের হাতে ৩৩ কোটি বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে যাচেছ। ভাল ফলাফল করার ক্ষেত্রে মেয়েরা গোল্ড ম্যাডেল পেয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবদুর রব সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলী খান।ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. এনায়েত উল্যাহ, প্রিন্সিপাল মেজর জেনারেল কাজী আশরাফ, প্রফেসর কাসিনাথ রায়, প্রফেসর মো. নুরুল আকা, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডীন মোর্তজা আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের ডীন, রেজিষ্টার, কন্ট্রোলার ও অন্যান্য অতিথিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার গুণগতমান ও সাফল্য তুলে ধরে বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ও মানসম্মন শিক্ষা কার্যক্রম দেশে চালিয়ে যাচেছ। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল ও উন্নয়নকামী দেশ। শিক্ষার পরিবেশ ও গুণগত মান ভাল রাখতে হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরো এগিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটি অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। নিজস্ব ক্যাম্পাস তৈরি করে শিক্ষার মান আরো বাড়াতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পর্যন্ত ভাল ভাবে সফল হতে পারেনি। দেশের আইন অনুসারে তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চালাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
এবারের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট ২০১৯ জন শিক্ষার্থী সনদ লাভ করেন। সর্বোচ্চ ফলাফরের জন্য ২জন শিক্ষার্থী চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ৩ জন শিক্ষার্থী চেয়ারম্যানের স্বর্ণপদক এবং ৪ জন শিক্ষার্থী ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদকে ভূষিত হয়েছে। এছাড়া ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে চেয়ারম্যানের স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ক্যান্সারে নিহত প্রয়াত শিক্ষার্থী আল আমিনের পিতা আব্দুল লতিফের হাতে স্বর্ণপদকের পাশাপাশি এ ইউনিভার্সিটির প্রদত্ত ৩ লাখ টাকার একটি অনুদান চেক প্রদান করা হয়।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ইষ্টার্ণ ইউনিভার্সিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, অভিভাবকসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।