22.-salah-uddin

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৮ ফেব্রুয়ারি: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হুকুমে দলবাজ র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির কিছু সেবাদাস কর্তা-ব্যক্তিরা আন্দোলনরত বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন কায়দায় ক্রসফায়ারের মাধ্যমে হত্যা করে সমগ্র দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে৷ দেশ আজ ভয়ঙ্কর পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে৷ জাতিকে সেই পুলিশি রিমান্ড থেকে মুক্ত করতে অবিরাম সংগ্রামের কোনো বিকল্প নাই৷ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন৷

সালাহ উদ্দিন বলেন, ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠান করে আওয়ামী লীগই রাজনৈতিক ভুল করেছে৷ সেই ভুলের খেসারত আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদেরকেই দিতে হবে৷ সেই দায় জনগণ নেবে না৷ বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক দলগুলো সেই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলনের সকল দরজা বন্ধ করে দিয়ে সরকারই জনগণকে বাধ্য করেছে রাজপথে অবিরাম সংগ্রামে লিপ্ত হতে৷ খালেদা জিয়াকে অঘোষিত কারাগারে রুদ্ধ করে সরকারের গদি রক্ষার স্বপ্ন কোনোদিনই পূরণ হবে না৷ গণআন্দোলনের বিজয় হবে৷ তিনি বলেন, গাইবান্ধার তুলশীঘাটে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি৷

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ২০ দলীয় জোট বরারবই বলে আসছে যে, এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে তারা আদৌ জড়িত নয়৷ বরং জোটের গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সরকারই এ ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানো চাপাচ্ছে৷ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে তা প্রচার ও প্রকাশে বাধা দেয়ার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে৷

তিনি বলেন, হাসিনাপুত্র জয় অস্ত্রের ভাষায় কথা বলে মুজিববংশীয় রক্তের প্রতিধ্বনি করেছেন৷ রাজনীতির পাঠশালায় বাল্যশিক্ষা শ্রেণী অতিক্রম না করার আগেই ভাষণ দেয়া শুভ লক্ষণ নয়৷ জয় সাহেবের মাতার পিতা মুজিবের রক্ষীবাহিনী নারকীয় হত্যাযজ্ঞে পুরো বাংলাদেশকে বধ্যভুমিতে পরিণত করেছিল৷ তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যে রাজনৈতিক সমস্যা জন্ম দিয়েছেন শেখ হাসিনা, সেই সংশোধনী বাতিল করে সমস্যার সমাধান তাকেই করতে হবে৷

সালাহ উদ্দিন বলেন, গণআন্দোলনের তীব্রতা দেখে সরকার অতিমাত্রায় ভীত হয়ে গুম, খুন, অপহরণ, দমন-পীড়ন, হামলা-মামলা এবং গ্রেফতার নির্যাতন চালিয়ে শেষ রক্ষা পেতে চায়৷ কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী দেয়-জনতার ন্যায্য আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হয়েছে যুগে যুগে দেশে দেশে৷ এই স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকারের পতনও এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র৷