দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি: হরতাল-অবরোধের কারণে সিএনজি (কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) খাতে প্রায় ৩শ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে৷ বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্শন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়৷ অ্যাসোসিয়েশের নেতারা বর্তমান অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন৷
শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে অস্থির রাজনৈতিক অবস্থার অবসান চাই শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিএনজি অ্যাসোসিয়েশন৷ এসময় সংগঠনটির আহ্বায়ক মাসুদ খান, যুগ্ম আহ্বায়ক নজিব আহমেদ, আখতার হোসেন ফয়সাল, সদস্য নজরুল ইসলাম, ফারহান নুর, আলমগীর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷ সিএনজি ব্যবসায়ীরা জানান, গত এক মাসের অবরোধের কারণে সিএনজি বিক্রি প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে৷ এতে প্রতিদিন তাদের প্রায় ১০ কোটি টাকা করে লোকসান হচ্ছে৷
সংগঠনের আহ্বায়ক মাসুদ খান বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সিএনজি ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে৷ এই অবস্থা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না৷ আলোচনার মাধ্যমে ব্যবসার স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অর্থনীতি না থাকলে দেশ থাকবে না, আর দেশ না থাকলে রাজনীতি থাকবে না৷ সংবাদ সম্মেলনে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর দাবি জানানো হয়৷ বলা হয়, গ্যাসের দাম বাড়লে পরিবহন খরচসহ যাবতীয় খরচ বাড়বে৷ মোট গ্যাসের মাত্র ৫ শতাংশ সিএনজি ব্যবহৃত হয়৷ ব্যবহার কম হলেও সরকারকে সর্বোচ্চ রাজস্ব দেয় এই খাত৷ এমনিতেই এই সিএনজি খাত লোকসান দিচ্ছে৷ দাম বাড়ালে এই খাতে লোকসান আরো বাড়বে৷
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়৷ দাবিগুলো হলো- ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ, গ্যাসের খেলাপি বিলের সুদ বাতিল করা ও কিস্তিতে বিল পরিশোধের সুযোগ দেয়া, সিএনজি স্টেশনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া এবং আলোচনার মাধ্যমে অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা৷