দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি: বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য দেশব্যাপউ জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে৷প্রতি বছর ক্যান্সারে আক্রানত্ম রোগীর সংখ্যা অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে৷ ধুমপানের মতো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলো ত্যাগ করলে ক্যান্সোর প্রতিরোধে সহায়ক হবে৷ এজন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা৷ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিষয়গুলো থেকে জনসাধারণকে দূরে রাখতে দেশব্যাপী জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে৷ আর এজন্য প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা,’ মো: আসলামুল হক এমপি রাজধানীতে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০১৫ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় শনিবার একথা বলেন৷
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোলস্না ওবায়েদুল্লাহ বাকীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক৷বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি ও বাংলাদেশ ক্যান্সার হসপিটাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোম যৌথভাবে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি চত্বরে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে৷
মো: আসলামুল হক দ্রুত রোগ নির্ণয় ও ক্যান্সার চিকিত্সার উন্নয়নে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান৷ এছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তার মায়ের নামে ক্যান্সার আক্রানত্ম রোগীদের জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্স ও একটি ডরমেটরি ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন৷
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, দেশে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য দেশব্যাপি সচেতনতা সৃষ্টিতে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচেছ৷ তিনি উন্নত চিকিত্সা ও সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন৷
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সঠিক সময় রোগ ধরা পড়লে ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব৷ কিন্তুৃ সরকারের পক্ষে ক্যান্সারের বিপক্ষে একা সবকিছু করা সম্ভব নয়৷ এজন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে৷ সমাজে ক্যান্সার সচেতনতা বাড়াতে হবে৷গত ৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে৷ এরই ধারাবাহিকতায় আজ এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷
