দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি হোসেন খালেদের নেতৃত্বে ডিসিসিআই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, এম.পি-এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। শিল্প সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূইয়্যা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দেশের শিল্পায়ন বাড়াতে নতুন শিল্প-কারখানায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় শিল্পের কাঁচামাল আমদানির উপর যাতে কোন ক্রমেই চুড়ান্ত পণ্যের ন্যায় ট্যাক্স আরোপ না করার আহবান জানান। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে চলমান রাখার জন্য দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা আবশ্যক। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আঞ্চলিক যোগাযোগের একটি কেন্দ্রস্থলে পরিণত হতে হলে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের কোন বিকল্প নেই। ডিসিসিআই সভাপতি দেশের অটোমোবাইল শিল্পের জন্য যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন ও রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করা একান্ত আবশ্যক। এছাড়াও তিনি এ খাতটিকে জাহাজ শিল্পের ন্যায় স্বতন্ত্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালেদ কল-কারখানায় প্রতি ঘনমিটারে বায়ুর পরিমান প্রতি ৮ ঘন্টায় ৫০০ মাইক্রোগ্রাম বহাল রাখার আহবান জানান। তিনি রপ্তানী প্রক্রিয়াজাতকরন এলাকা (ইপিজেড) এবং বিশেষায়িত অর্থনৈতিক এলাকা (এসইজেড) সমূহের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন পণ্য সরবরাহের জন্য সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনের দাবী জানান।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, দেশের শিল্পায়নের ধারাকে গতিশীল রাখার জন্য ঢাকা চেম্বারের প্রস্তাবনা সমূহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পমন্ত্রী অটোমোবাইল খাতের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং এ খাতের উন্নয়নে দেশের বেসরকারীখাত কে এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি দেশের শিল্পায়নের স্বার্থে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন ।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহ-সভাপতি মোঃ শোয়েব চৌধুরী, পরিচালক মোঃ সবুর খান, এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, আসিফ এ চৌধুরী, হোসেন আকতার, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, খন্দকার আতিক-ই-রাব্বানী, মোক্তার হোসেন চৌধুরী এবং ডিসিসিআই মহাসচিব এএইচএম রেজাউল কবির এ সময় উপস্থিত ছিলেন।