দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ৪ ফেব্রুয়ারি: বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি সংক্রানত্ম মামলায় আনা রিট আবেদনে দেয়া রুলের ওপর শুনানি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে৷বুধবার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শুরুর দিন ধার্য করে এ আদেশ দেয়৷ রুলের ওপর শুনানি শুরম্নর আদেশ প্রার্থনা করে আবেদন করেছিল দুনর্ীতি দমন কমিশন (দুদক)৷আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান৷
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা নিয়ে খালেদা জিয়ার করা দুটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিল৷ এ রুল শুনানির জন্য দুদকের পক্ষে আনা আবেদন গ্রহণ করে আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানির তারিখ ধার্য করে আদেশ দিয়েছে৷
দুদক আইনে গ্যাটকো মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আনা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই হাইকোর্ট মামলা প্রশ্নে রুল জারি ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আদেশ দেয়৷ এর আগে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অনত্মর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এবং বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়৷ রিটের শুনানির পর মামলাটি জরুরি ক্ষমতা আইনের অনত্মর্ভুক্ত করা কেন বেআইনি ও কতর্ৃত্ব বহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না- তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রম্নল জারি করা হয় এবং মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়৷পরে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ আপিল বিভাগে বাতিল হয়ে যায়৷
দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরম্নদ্ধে তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন৷ ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অনত্মর্ভুক্ত করা হয় জরম্নরি ক্ষমতা আইনে৷
২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়৷ অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্রগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন৷