দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি: নব্বই দশকে সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার যুদ্ধে দেশ দুটির সেনাবাহিনী গণহত্যা করেনি বলে রায় দিয়েছে আনর্্তজাতিক বিচার আদালত৷ মঙ্গলবার বিকেলে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত এ রায় দেয়৷
১৯৯০ সালে যুগোস্লাভিয়া থেকে পৃথক হয় সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়া৷ এর পরের বছরই দেশ দুটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে৷ ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত যুদ্ধে ২০ হাজার লোক নিহত হয়৷ ১৯৯১ সালে ক্রোয়েশিয়ার ভুকোভার শহরে হামলা চালায় সাবর্রা৷ মাত্র তিন মাসে প্রায় এক লাখ ক্রোয়েশিয়া বাস্তুচ্যুত হয় ও ২৬০ জন নিহত হয়৷ এর চার বছর পর ক্রোয়েশিয়ার সেনাবাহিনী ক্রাজিনা এলাকায় অভিযান চালায় ৷ এতে দুই লাখ লোক বাস্তুচূ্যত হয়৷
এ ঘটনায় ১৯৯৯ সালে গণহত্যার অভিযোগ ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে আনর্্তাজাতিক আদালতে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে ক্রোয়েশিয়া৷ ২০১০ সালে পাল্টা অভিযোগ এনে মামলা করে সার্বিয়া৷
মঙ্গলবার মামলা দুটির রায়ে আনর্্তজাতিক আদালতের প্রেসিডেন্ট পিটার তোমাকা বলেন, যুদ্ধের সময় দুটি দেশের সেনাবাহিনীই অপরাধ করেছে৷ কিন্তু গণহত্যার যে গণহত্যা সংঘঠনের ইচ্ছা কোন জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে কিংবা আংশিক’ ধ্বংসের অভিযোগ কোন দেশের বিরুদ্ধেই প্রমানিত হয়নি৷ ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘিত হওয়ার বিষয়টি প্রমানিত না হওয়ায় আদালত দুটি দেশের গণহত্যার অভিযোগে খারিজ করে দেয়৷ তবে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সাবেক দুই শত্রু রাষ্ট্রকে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরন প্রদান অব্যাহাত রাখতে বলেছে আদালত৷