দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি: ইংরেজি দৈনিক নিউএজ পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদককে পেটানোর অভিযোগে রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান, ওসি তদন্ত আলী হোসেন এবং এসআই মেহেদী হাসান সুমনসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভিকটিম নাজমুল হুদা সুমন এ মামলাটি দায়ের করেনসিএমএম আদালতে ।
মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ আনোয়ার সাদাত শুনানি শেষে ডিবির যুগ্ম কমিশনারকে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১ ফেব্র“য়ারি বেলা সাড়ে ৫টার দিকে বাদী নাজমুল হুদা সুমন তার বন্ধু খায়রুজ্জামানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বিজয়নগরস্থ রাজমনি সিনেমা হলের সামনে আসলে ট্রাফিক পুলিশ তাদের থামায়। দুই জন মোটরসাইলে ওঠা নিষিদ্ধ জিজ্ঞাসা করেই কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই তাদের ওপর চড়াও হয়।বাদী সাংবাদিক পরিচয় দিলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত এসআই মেহেদী হাসান সুমন বাদী ও তার বন্ধুকে বে-ধরক মারধর শুরু করেন। মারধর করার পর বলেন, ক্রয়ফায়ারে দেব, প্রয়োজনে বিএনপি-জামায়াতের দালাল বানিয়ে জেলে পুড়ে দেব।
এরপর বাদী ও বাদীর বন্ধুর ২টি মোবাইল এবং পকেটে থাকা ৭ হাজার ২শ ৭০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদের রমনা থানায় নিয়ে যায়। সেখানে বাদী নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলে অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন পুলিশ তাদের ফের বে-ধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে।এরপর এসআই সুমন এক কনস্টেবলকে বাদী ও তার বন্ধুর মোবাইলে প্রধানমন্ত্রীর নগ্ন ছবি আপলোড করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পরে একটি রেকর্ডার এনে বাদী ও তার বন্ধুকে পাবলিক পিটিয়েছে মর্মে জোর করে স্বীকারোক্তি রেকর্ড করেন। মামলায় বলা হয়, রমনা থানার ওসি ও ওসি তদন্তের নির্দেশে এসআই মেহেদী হাসান সুমন এবং অনান্য অজ্ঞাত পুলিশ সদস্যরা বাদী ও তার বন্ধুকে বে-ধরক পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।