i_image_1422957539

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি: রাজনীতির নামে যেভাবে সন্ত্রাস চলছে তা থেকে প্রতিকারের পথ না বের হলে পরিস্থিতির সুযোগ নেবে জঙ্গিবাদ অভিমত রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের৷ মঙ্গলবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক আলোচনায় বক্তারা এসব বলেন৷ তারা বলেন, যে রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে তা থেকে পরিত্রাণের জন্য সমাধানের পথ বের হতেই হবে, তবে কানো রাজনৈতিক দলকে নিশ্চিহ্ন করে সে সমাধান হলে চলবে না৷

বতর্মান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সমাধানের পথ খুঁজতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আলোচনা সভা করে ঐক্য ন্যাপ৷ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, বিএনপির দাবি রাজনৈতিক হলেও যেভাবে তা আদায়ের চেষ্টা হচ্ছে তা সন্ত্রাস ও নাশকতা৷ তিনি বলেন, বিএনপির এক শীর্ষ নেতা উক্তি করেছেন কিসের পরীক্ষা? কার পরীক্ষা? সমপ্রতি পাকিস্তানিদের তালেবান জঙ্গিরা ক্লাসে ঢুকে পৈশাচিকভাবে গুলি করে হত্যা করেছে শিক্ষার্থীদের৷ বিএনপির শীর্ষ নেতার মতামতের মিল পাওয়া যায়৷ তিনি আরো বলেন, এমন পরিস্থিতি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে পরিণতি হবে ভয়াবহ৷

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সরওয়ার আলী বলেন, সেই ধর্মীয় জঙ্গিবাদ হয় এরসঙ্গে এসে দাঁড়াবে, পরিস্থিতির সুযোগ নেবে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার যে দেশ বাংলাদেশ আমরা চেয়েছিলাম সেদেশটি ভুলোন্ঠিত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে পরে থাকবে৷ সভায় নেতারা জানান, এমন পরিস্থিতিতে আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা তারা দেখছেন না৷ তবে ক্ষমতাসীনদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেয়ার কথা বলেন তারা৷

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মনজুরুল আহসান খান বলেন, ‘এরা (বিএনপি ুজামাত) বলছে হরতাল চলবে, যা হবার হবে৷ আর ওরা বলছে (ক্ষমতাসীনদল) এটা প্রতিরোধ করা হবে সমস্ত শক্তি দিয়ে৷ নির্মূল করে ফেলা হবে, আবার তারাও নির্মূল করতে চায়৷ এখন যে অবস্থা হচ্ছে বিএনপি শেষ হতে হবে না হয় আওয়ামী লীগ শেষ হতে হবে৷ জামাত না কিন্তু? এ ধরনের রাজনীতি আমাদের দেশকে একটা ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে৷

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অজয় রায় বলেন, তারা আওয়ামী লীগ প্রধান দল তাদের তো দায়িত্বটা বেশি৷ কারণ এদেশের মানুষের জন্য দরদ আছে তাদের৷ যারা আজকে মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, যারা সমস্ত অর্জনকে নস্যাত্‍ করতে চাইছে তাদের দরদতো বেশি না৷ চলমান সঙ্কট নিরসনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সকল শক্তিকে নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান তারা৷