দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি: অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা না হলে বর্তমান সহিংসতা রোধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্যমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও ও পেট্রোল বোমায় মানুষ হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে শ্যমিক-কর্মচারী- পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ।মন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি জামাত জোট আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যায় েেমতে উঠেছে।
সকল সহিংসতা খালেদা জিয়ার নির্দেশেই হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব সহিংসতা এবং হত্যার দায়-দায়িত্ব তাকেই নিতে হবে।চলমান সহিংসতার প্রতিবাদে আগামী ৫ ফেব্র“য়ারি বিভিন্ন কর্মসূচিও ঘোষণা করেন শাজাহান খান।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রোল বোমা ছুড়ে ৭ জনকে হত্যার দায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের দাবি জানান নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি।শাজাহান খান বলেন, গণ আন্দোলনের কথা বলে খালেদা জিয়া গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করে চলেছেন। গত রাতেও কুমিল্লায় বাসে পেট্রোল বোমায় ঘটনাস্থলে মারা যান সাত জন। বাকী ১৬ জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ সমস্ত দায় খালেদার। তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।খালেদাকে কারারুদ্ধ না করলে দেশের মানুষ ও স্বাধীনতা বাঁচবে না’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খালেদা জিয়াকে গণ হত্যার নায়িকা আখ্যায়িত করে শাহজাহান খান বলেন, ৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যেভাবে বাঙালি জাতির ওপর গণহত্যা চালিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোটও তেমনি বাঙালি জাতিসত্ত্বা ও স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে গণহত্যা চালাচ্ছে। আর এ গণহত্যার নায়িকা হচ্ছেন খালেদা।হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, খালেদার বিষ দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া হবে। এমন কর্মসূচি দেওয়া হবে পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। বিএনপি-জামায়াত শিবিরের সহিংসতা বন্ধ না হলে আগামী ৫ ফেব্র“য়ারি সব ধরনের যানবাহনে হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ করার ঘোষণা দিয়েছেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
নৌমন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার প্রতিবাদে ৫ ফেব্র“য়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১টা পর্যন্ত সব শ্রেণি- পেশার মানুষ দাঁড়িয়ে অবস্থান নেবে। দুপুর ১টা ১ মিনিটে সব ধরনের যানবাহনে হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ করা হবে।একই সঙ্গে ওইদিন ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বাঁশি বাজাবেন।
এছাড়া আগামী ৭ফেব্র“য়ারি বিকেল ৩টায় বিএমএ অডিটোরিয়ামে শ্রমিক-কর্মচারী- পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের কনভেনশনে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান শাজাহান খান। ৪ ফেব্র“য়ারি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলেও জানান তিনি।সমাবেশে অংশ নেন- বিভিন্ন শ্রমিক- পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্ত্বর হয়ে প্রেসক্লাব গিয়ে শেষ হয়।