দৈনিকবার্তা-কোম্পানীগঞ্জ, ১ ফেব্রুয়ারি: পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, আগামী ৭দিনের মধ্যে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ক্লোজার নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ক্লোজারের নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলতে থাকায় মন্ত্রী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টান ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেডের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ক্লোজারের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর প্রচুর পরিমাণের ভূমি জেগে উঠবে। যে সব কৃষকের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে, তাদেরকে ওই খাস জমি থেকে জমি দিয়ে পুর্ণ:বাসন করা হবে। বাঁধ ক্লোজ করার পর রেগুলেটর চালু হলে ইরিগেশন চালু হবে, মাছ চাষ হবে, এ এলাকায় পর্যটন শহর হবে এবং নোয়াখালী, ফেণী, লক্ষীপুর, কুমিল্লা পর্যন্ত সেচ প্রকল্প হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন হবে, লবণাক্ত পানি প্রবেশ রোধ করবে, নদী ভাঙ্গন রোধ হবে, ব্যাপক সেচ সুবিধা সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থান ব্যবস্থা হবে।
মন্ত্রী রোববার সকাল ১১টায় নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ ছোট ফেনী নদীর উপর মুছাপুর ক্লোজার নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সচিব ড. জাফর আহমেদ খাঁন, বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: খোরশেদ আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো: আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহতাব উদ্দিন, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আইনুন নিশাত, নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রিয়াজুল হাসান, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং (প্রাঃ) লিঃ এর এমডি বশির আহমেদ প্রমুখ।