দৈনিকবার্তা-হাটহাজারী, ৩১ জানুয়ারি: মহাজোট সরকারের সেই আলোচিত-সমালোচিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মহসীন আলী ইসলামের ফরজ বিধান ‘বোরকা ও পর্দা’ নিয়ে কটাক্ষ করায় হেফাজত ইসলামের নেতারা হাটহাজারীর ওলামা পরিষদের ব্যানারে আবারো উত্তাল হয়ে উঠেছে৷ আওয়ামী লীগ সরকারের ওই মন্ত্রীকে আগামী মঙ্গলবার এর মধ্যে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দিয়ে গ্রেফতার পূর্বক সর্বোচ্চ শাসত্মি ফাঁসি কার্যকর করতে হবে৷ অন্যথায় আগামী বুধবার থেকে লাগাতার হরতালসহ কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে৷ শনিবার বিকেলে হাটহাজারী ডাক বাংলো চত্বরে হাটহাজারী ওলামা পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে ওই অরাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা এ দাবি জানান৷
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও হাটহাজারী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শামসুল আলম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত
প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে সরকারকে তিনদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে ওলামা পরিষদ নেতারা বলেন, আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি ইসলাম বিরোধী এই কুলাঙ্গার মন্ত্রীকে অপসারণ করে সর্বোচ্চ শাসত্মি ব্যবস্থা না করে তাহলে ওলামা পরিষদ দেশের সকল আলেম-ওলামা ও সর্বসত্মরের মুসলমানদের নিয়ে লাগাতার হরতালসহ কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে৷
ওলামা পরিষদ নেতা কামরম্নল ইসলাম এর সঞ্চালায় প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মীর ইদ্রীস বলেন, ‘সরকারই মুরতাদ লতিফ-মহসীন আলী গংদের আস্কারা দিচ্ছে৷ স্বঘোষিত মুরতাদচক্র একের পর এক ইসলাম ও ইসলামি বিধানের বিরম্নদ্ধে বিশোধগার করেই চলেছে৷ অদ্যাবধি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় স্বঘোষিত মুরতাদগংদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে৷ এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সমাজকল্যাণমন্ত্রী মহসীন আলী ইসলামের ফরজ বিধান ‘বোরকা ও পর্দা’ নিয়ে কটাক্ষ করে ইসলামের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ ইতিপূর্বেও তিনি ইসলাম, ইসলামি শিক্ষার বিরম্নদ্ধে অবস্থান ও পতিতাদের পক্ষ নিয়ে মুসলিম উম্মাহর কলিজায় আগুন দিয়েছেন৷
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মইনুদ্দিন রম্নহী বলেন, আমরা আগেও বলেছি এই সরকারের মন্ত্রীসভায় অনেকগুলো নাসত্মিক মন্ত্রী আছে৷ তাই আমরা আগে থেকেই তাদের অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছি৷ কিন্তু সরকার আমাদের কথায় কান না দিয়ে বরং আমাদের তিরস্কার করা হয়েছে৷
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার সময় ফুরিয়ে আসছে, আপনি আপনার বেসামাল নাস্তিক মুরতাদ মন্ত্রীদের সংযত করম্নন৷ না হয় আপনি পালানোর সুযোগ পাবেন না৷
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ওলামা পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা আহমদ দীদার, ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলনা হাবিবুলস্নাহ নদভী, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী, মাওলানা হাবিবুল হোক বিন খালেদ, মাওলানা মাহমুদুল হুসাইন, মাওলানা ইমরান শিকদার, মাওলানা কামরম্নল কাছেমী, মাওলানা জুনাইদ বীন ইহাহিয়া, ফোরকান শিকদার, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা সিরাজ ফয়জী প্রমুখ৷
সমাবেশ বক্তারা আরো বলেন, সরকার যদি এখনি এ সমসত্ম দুষ্টুচক্র ও মুরতাদ গংদের দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মির ব্যবস্থা না করে তাহলে এরা দেশ, জাতি ও ইসলামের মহাসর্বনাশ করবে৷ তাই সরকারকে সংসদের চলতি অধিবেশনেই স্বঘোষিত ধর্মদ্রোহী, কুলাঙ্গার লতিফ সিদ্দিকী ও মহসীন আলীসহ সকল মুরতাদ ও ধর্মদ্রোহীদের সর্বোচ্চ শাসত্মির আইন পাশ করতে হবে৷ চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, হানাহানি ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করতে উক্ত দুষ্টুচক্র বেশামাল হয়ে পড়েছে৷