mapping-ICT1

দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোসত্মাফিজুর রহমান বলেছেন, সরকার দেশের ১ হাজার ৫১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২০ হাজার ৫’শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর এবং ইন্টারনেট মডেম সরবরাহ করেছে৷তিনি বলেন, শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা উপলদ্ধি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ে প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ সরবরাহ করেছে৷ ফলে দেশের ৪২ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে৷

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী শনিবার রাজধানীর গুলশানে স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে সেভ দ্য চিলড্রেনের ‘ম্যাপিং আইসিটি ইন এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন৷অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফাইজুল কবির, একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের পলিসি এ্যাডভাইজর অনীর চৌধুরী৷ সেভ দ্য চিলড্রেন পরিচালক (শিক্ষা) এলিজাবেথ পিয়ারসি ও গবেষক হাবিবুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন৷

মন্ত্রী বলেন, ‘মানসম্মত শিক্ষা সরকারের অঙ্গীকার৷ আমাদের দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার অভাব নেই৷ অভাব শুধু মানসম্পন্ন শিক্ষার৷ এটা দূর করতে হবে৷ আর সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে৷ দরকার কোয়ালিটি শিক্ষকের৷ তাই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে৷ তবে এটা সময়ের ব্যাপার৷ তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে আরো ১৩টি পিটিআই প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে৷

অনীর চৌধুরী জানান, চলতি বছরেই দেশের সকল পিটিআই ও টিটিসিতে ইন্টারনেট কানেকশন পৌঁছে যাবে৷ সারাদেশের স্কুলগুলোতে এ ব্যবস্থা চালু করতে ৩ থেকে ৫ বছর সময় লাগবে৷ তবে ২/১ বছরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে এ সেবা পৌঁছে যাবে৷সেভ দ্য চিলড্রেনের গবেষণায় দেখা গেছে, ইলেক্ট্রনিক কন্টেন্ট তৈরি, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, ইলেক্ট্রনিক কন্টেন্ট শেয়ারিংয়ের জন্য ওয়েব পোর্টাল তৈরি, শিক্ষকদের মধ্যে নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য স্থাপিত কমিউনিটি শিক্ষাকেন্দ্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে৷

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসব ক্লাসরম্নমে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও ইন্টারনেট মডেমসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে এবং শ্রেণীকক্ষে শিক্ষণ পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে৷প্রতিবেদনে শিক্ষায় সরকার, স্থানীয় ও আনত্মর্জাতিক এনজিও এবং ব্যক্তিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য প্রযুক্তির উদ্যোগ তুলে ধরা হয়েছে৷