দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বর্তমান রাজনীতির ভিলেন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷নাশকতা বন্ধ না করলে বিএনপি অচিরেই সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোটার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন৷ সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য রিপোটার্স অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ-এর সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা৷সঞ্চালনা করেন ডিআরইউ-এর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন৷ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি ধীরে ধীরে গণতন্ত্র থেকে সরে নাশকতার দিকে যাচ্ছে৷ এধরনের নাশকতা বন্ধ না করলে অচিরেই একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হবে বিএনপি৷আর দেশের প্রচলিত আইনেই নাশকতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি৷
ইনু বলেন, একাত্তরে ভিলেন ছিল পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকাররা৷ আর এখনকার রাজনৈতিক ভিলেন হলেন খালেদা জিয়া৷তিনি (খালেদা) সরকার বা প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেননি, খালেদা যুদ্ধ করছেন জনগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তথ্যমন্ত্রী৷হাসানুল হক ইনু বলেন, সরকার জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে৷ তাই এসব ঘটনাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করে তা মোকাবেলা করছে৷
এরইমধ্যে দেশেব্যাপী সহিংসতা কমে আসছে বলেও মনে করেন তিনি৷এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের বিদ্যুত্ সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিষয়টি একটু আগে শুনেছি৷ তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না৷
স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রধান ভিলেন ছিল পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী৷ ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতির সামনে ভিলেন হয়ে দাঁড়িয়েছিল সামরিক শাসকগোষ্ঠী৷ আর এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থির মূল ভিলেন হচ্ছেন খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামায়াত জোট৷ সুতরাং দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে প্রতিহত করতে হলে প্রথমে এই ভিলেনকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু৷তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকবাহিনী যখন বাঙালিদের সঙ্গে পেরে উঠছিল না, তখন তারা নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার শুরু করে৷ ঠিক তেমনই বিএনপি-জামায়াত সরকারের সঙ্গে আন্দোলনে না পেরে জনগণকে আক্রমণ করছে৷ সরকার ও দেশের গণমাধ্যম এই আক্রমণকে প্রতিহত করবে৷ সেই চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করেছে৷ জনগণের উপর এই আক্রমণ বন্ধ করার জন্য বিএনপি নেত্রীকে আহ্বান জানান তিনি৷
সংলাপ প্রসঙ্গে ইনু বলেন, সরকারের সঙ্গে যে কোনো দল একটি কার্যকর সংলাপ করতে পারে, সংলাপের দ্বার খোলা আছে৷ তবে সংলাপের পূর্বে বিষয়বস্তুগুলো নির্ধারণ করতে হবে৷ কিন্তু সংলাপ করার জন্য যে ধৈর্যের প্রয়োজন সেটা খালেদা জিয়ার নেই৷ তার এতো অস্থিরতা কিসের? উনি কি এখনই সরকার পতন করতে চান?
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তার ৭ দফা দাবির কথা বলেছিলেন৷ এখন আর তার মুখে সে কথা শোনা যায় না৷ তিনি ৭ দফা পড়া শেষ করতে না করতেই লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করলেন৷ এর পেছনেও তার গোপন এজেন্ডা রয়েছে৷ সেটা হচ্ছে তার পরিবার ও দলীয় এজেন্ডা৷চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা এবং দলটির নেত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, তথ্যমন্ত্রীর কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন এক সাংবাদিক৷ জবাবে ইনু বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যেভাবে বিএনপিকে পরিচালনা করছেন, তাতে খুব শিগগিরই বিএনপি একটি সন্ত্রাসবাদী দলে পরিণত হবে৷ তিনি হবেন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের নেতা৷ তখন সন্ত্রাসবাদী দল ও তার নেতার বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা দরকার, সরকার তা নেবে৷