দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ৩০ জানুয়ারি: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে ঢুকতে না দেয়ায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ৷ বিষয়টিকে আত্মসম্মানের ধরে নিয়ে রাজনৈতিকভাবে এর শোধও নিতে চায় তারা৷ দলটির নেতারা বলছেন, এমন আচরণের খেসারত দিতে হবে বিএনপিকে৷ আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের প্রভাবশালী এক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ এর শোধ নেবে৷ আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না৷ সমঝোতার কোনো সুযোগও দেয়া হবে না৷ সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক করা হবে৷
এদিকে, আগামী সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা৷ আর এ পরীক্ষা চলাকালেই লাগাতার অবরোধ কমূসূচি চালিয়ে যাবে ২০দলীয় জোট৷কেন্দ্রীয় ভাবে অবরোধের পাশাপাশি হরতাল কর্মসূচিও যুক্ত হতে পারে৷ আর এমনিতেই জেলা ভিত্তিক হরতাল দেয়া হচ্ছে৷ ২০দল প্রাথমিকভাবে এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ এছাড়া একটি গ্রহণ যোগ্য সরকারের অধীনে যথাশীঘ্র নতুন নির্বাচনের দাবীতে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি নিয়েও জোর আলোচনা চলছে৷
অন্যদিকে, গেল ২৪ দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান সহিংসতা ও বিএনপি অফিসকে ঘিরে কার্যত অবরুদ্ধ’ থাকা কূটনীতিক জোনের নিত্যদিনকার পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকরা ত্যক্ত-বিরক্ত৷ ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে বিএনপির দেয়া কর্মসূচি এবং তত্পরবর্তী সহিংসতায় উদ্বেগ ভর করায় তারা ঢাকার বাইরেও যাচ্ছেন না৷ এ ছাড়া অন্যান্য বছর জানুয়ারি মাসে কূটনীতিকরা রাজধানীতে নানা সভা-সেমিনার কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে তা থেকে তারা বিরত রয়েছেন৷ শুধু সরকারি ডাক পড়লে তারা গিয়ে নিজেদের উদ্বেগ প্রাধান্য দিয়ে সহিংসতা বন্ধে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন৷ তবে মাঝে কয়েকদিন বিএনপির কিছু নেতার সঙ্গে অনেক কূটনীতিক দুই-একবার যোগযোগ করলেও নানা কারণে বিরক্ত হয়ে তারা নিজেদের ‘গুটিয়ে’ নিচ্ছেন৷ আর অতি জরুরি কাজ না থাকলে কূটনীতিক জোনের বাইরেও যাচ্ছেন না মিশনের অন্য কর্মকর্তারা৷ এ বাস্তবতায় প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিরা বলছেন, ‘আমাদের একটাই চাওয়া সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, সংকট উত্তোরণে সংলাপ জরুরি৷ আমরা সরকারের পদক্ষেপে আশ্বস্ত হতে চাই৷
অন্যদিকে সরকারি তরফে বলা হচ্ছে, কূটনীতিকরা কোথাও যেতে চাইলে তাদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ এ নিয়ে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রচার অনুবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে৷ আর কূটনীতিক জোনে রাজনৈতিক কার্যালয় উঠিয়ে দেয়ার কূটনীতিকদের প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছে সরকার৷
নবম সংসদের বিরোধী দল বিএনপি অংশ না নেয়ার বাস্তবতায় এবং সাংবিধানিক বাধ্যকতায় গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন৷ এ নির্বাচনের পর দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নতুন নির্বাচনের দাবি তোলে৷
গত ৫ জানুয়ারিকে ঘিরে বিএনপি কর্মসূচি দেয় এবং দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ থাকেন৷ এর পর আসে অবরোধ, টানা অবরোধ ও হরতাল৷ এ কর্মসূচির সহিসংতায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে৷
সূত্র জানায়, গত ৪ জানুয়ারি দেশে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে বিদেশি কূটনীতিকরা সার্বিক পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণে ছিলেন৷ তবে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা রিয়াজ রহমানের ওপর হামলা এবং রংপুরে চলন্ত বাসে পেট্রলবোমায় হতাহতের ঘটনায় তারা মুখ খোলেন৷ এ বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে ওবামা প্রশাসন থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়৷
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় আন্তর্জাতিক উদ্বেগের পরিপেট্রক্ষিতে সরকার এরই মধ্যে ঢাকাস্থ বিদেশি কূটনীতিদের বলেছে, অপেক্ষা করুন আপনাদের উদ্বেগ নিরসন হবে৷ জবাবে কূটনীতিকরাও বলেছেন, সহিংস কর্মকাণ্ড করে গণতন্ত্র শক্তিশালী করা যায় না৷ আশা করছি খুব শিগগিরই এসব সহিংসতা বন্ধ হবে৷
সূত্র আরো জানায়, চলমান সহিংসতায় ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ৷ সামপ্রতিক দিনগুলোয় অনাকাঙ্ক্ষিত প্রাণহানির ঘটনা এবং অরাজক পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে৷ সে উদ্বেগে ভর করেছে ঢাকার কূটনীতিকদেরও৷
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এক নেতা জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটি, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাসহ কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত ছিলেন৷ ব্যক্তিগত আলোচনায় বিএনপির নেতারাও এটা স্বীকার করেছেন৷ কিন্তু অদৃশ্য ইশারায় সব পাল্টে যায়৷ বিষয়টি বিএনপির প্রগতিশীল ও জ্যেষ্ঠ নেতাদের বড় একটি অংশও মেনে নেয়নি৷ ২১ আগস্টের মতো ঘটনা ভুলে প্রধানমন্ত্রী সেখানে যান৷ শুধু আওয়ামী লীগ নয়; দেশের মানুষও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ অসৌজন্যতা মেনে নেয়নি৷ ভুল সিদ্ধান্তের কারণে রাজনীতিতে আবারো মার খেল বিএনপি৷ এর মাশুলও দিতে হবে৷ যেমনটা দিতে হয়েছে গত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে৷ আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, সেদিন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে ভালোভাবে বরণ করে নিয়ে যাবেন তাদের দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে৷ এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের ও প্রধানমন্ত্রীর ওই দিনের বহরে থাকা কয়েকজনের কথাও হয়েছিল৷
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা জড়োও হয়েছিলেন৷ তাদের কিছু মতপার্থক্য ছিল; তবে সিদ্ধান্ত ছিল প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানের সঙ্গে বরণ করে নেবেন৷ খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে তার সঙ্গে দেখা না করার বিষয়টি তুলে ধরবেন৷ কিন্তু হঠাত্ অদৃশ্য কারণে ডধানমন্ত্রী গুলশান পৌঁছানোর ১০ মিনিট আগে সব ভেস্তে যায়৷ পকেট গেটে তালা দিয়ে দেয়া হয়৷
শাসক দল আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, এটা ছিল নিছকই মানবতার প্রশ্ন৷ কিন্তু অদৃশ্য কোনো ইশারায় ঘটনা পাল্টে যায়৷ ওই নেতা বলেন, এতে তাদের রাজনীতিও হিতে বিপরীত হয়েছে৷ এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ দেশবাসীর আস্থা অর্জন করলেও প্রধানমন্ত্রীকে গেটের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছেন ক্ষমতাসীনরা৷ তারা দেখছেন এটাকে আত্মসম্মানের (ইগো) বিষয় হিসেবে৷ এজন্য বিএনপিকে আর কোনো ছাড় না দেয়ার পক্ষে তারা৷
সরকারি সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এখন পুত্রশোকে শোকাহত৷ তাই যাত্রাবাড়ীর পেট্রলবোমার ঘটনায় হুকুমদাতা হিসেবে তার নাম এজাহারে রাখা হয়েছে; তবে আসামি নয়৷ আসামি হলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেয়ার সুযোগ থাকে৷ কিন্তু এজাহারে নাম থাকায় সময়-সুযোগ অনুযায়ী তাকে গ্রেফতারের পথও সরকারের সামনে খোলা রয়েছে৷
বাস পোড়ানোর মামলায় নির্দেশদাতা হিসেবে এজাহারে নাম থাকা এবং বিভিন্ন মহলে খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের দাবি উঠলেও তা এখনি করছে না পুলিশ৷ ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, সাক্ষ্য প্রমাণ মিললেই ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ পুলিশ অনুমানের ওপর কাজ করে না৷ কাউকে গ্রেফতারের আগে তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই এবং তদন্ত শেষেই গ্রেফতার করে৷ সুতরাং অপরাধী যেই হোক না কেন তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে৷ কাউকে একবিন্দু ছাড় দেয়া হবে না৷
সরকারের নীতিনির্ধারকরা জানান, দেশের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসছে৷ বেগম জিয়ার ছোট ছেলের শোকাবহ পরিবেশ কেটে গেলেই আবারো চিহ্নিত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে দেশব্যাপী৷ বিএনপি অবরোধ না তুললেও আগামী ২ ফেব্রুয়ারি ওেথকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষা পেছাবে না সরকার৷ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে৷ দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বিএনপির অবরোধকে ঠুনকো নামমাত্র করে দিতে চায় সরকার৷
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক নেতা বলেন, বিএনপির ক্ষমতার ভারকেন্দ্র একাধিক হওয়ার কারণে দলটির মধ্যে কোনো চেন অব কমান্ড নেই৷ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকেই টানা অবরোধ এবং সামপ্রতিক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে করা আচরণ নিয়ে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন৷ আওয়ামী লীগের এ নেতা জোর দিয়ে বলেন, বিএনপিতে খুব শিগগিরই ভাঙন ধরবে৷
আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা বলছেন, বিএনপির সংলাপে বসার জন্য একটা চাপ প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছিল৷ ১৪ দলের কয়েকটি দলও এমন প্রস্তাব দিয়েছিল৷ কিন্তু বিএনপির এমন আচরণের মধ্য দিয়ে সে সম্ভাবনা অনেক দূরে চলে গেল৷ এখন দেশের নাগরিক সমাজ ও বিশিষ্টজনরাও আর সংলাপের জন্য শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে পারবেন না৷ প্রধানমন্ত্রীকে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও৷ তারাও সংলাপের জন্য সরকারকে চাপ দেয়া থেকে অনেকটা সরে এসেছেন৷
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এমন অসৌজন্য আচরণ করে আলোচনার দরজা বিএনপি নিজেরাই বন্ধ করেছেন, শুধুই বন্ধই করেননি, তাতে তালাও লাগিয়ে দিয়েছেন৷ এখন চলমান সমস্যার সমাধান আমাদের সরকারকেই করতে হবে এবং এটি কোনো রাজনৈতিক সমস্যা নয়, এটি আইনশৃঙ্খলার সমস্যা৷
১৪ দলের প্রভাবশালী শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, খালেদা জিয়া গেটে তালা মেরে সংলাপের দরজা চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছেন৷ যারা সামান্যতম রাজনৈতিক শিষ্টাচার জানেন না তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নেই৷সমপ্রতি হরতাল, অবরোধসহ নানা আনর্্তজাতিক বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে সরকার ভেতরে ভেতরে অনেক চাপে আছে৷বিশেষ করে দেশের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সরকার বেশ উদ্বিগ্ন৷ এছাড়া ঢাকা থেকে সারাদেশ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে ৷ নিরাপত্তা দিয়ে কত দিন বাস চালানো যাবে তাও নিয়ে বেশ বেশ উদ্বিগ্ন সরকার ৷ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও হরতালের কারণে খরায় ভুগছে পর্যটন শিল্পসহ ব্যবসা বাণিজ্যে৷ বাজারে নিত্য পণ্যেও দাম বাড়ছে৷ পর্যটক শূন্যতায় স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই খাত৷ প্রতিদিনই লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের৷ লাগাতার অবরোধের কারণে বিপর্যস্ত কঙ্বাজারের পর্যটন শিল্প৷ বেশ কিছু ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, হরতাল অবরোধের কারণে একদিকে পর্যটক আসা বন্ধ হয়েছে অন্যদিকে এই কোম্পানিগুলো বেশ ক্ষতির শিকার হচ্ছে৷ এছাড়া পর্যটন এলাকার দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা৷ আবাসিক হোটেল মালিকরাও বিরাট ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন৷
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা৷ গতকাল এক শান্তি সমাবেশে জোটের নেতারা বলেন, এভাবে নৈরাজ্য করলে অচিরেই দেশের মানুষ খালেদা জিয়ার গ্রেফতারের দাবি তুলবে৷ তারা বলেন, ২০১৯ সালের আগে দেশে নির্বাচন হবে না৷