FRONT-LIGHT

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি: প্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে জাপানকে বলা হয় সবচেয়ে পরিশ্রমী মানুষের দেশ। বছর দুয়েক আগে এক জাপানি ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি যে ঘরটিতে বসবাস করেন সেটা দিনের বেলা অফিস আর রাতের বেলা শোবার ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে ওঠার পরই কাজের জন্য বের হয়ে যান তিনি, আর তার কক্ষটি তখন ব্যবহৃত হয় অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষ হিসেবে। জাপান বলেই হয়তো এটা সম্ভব, কিন্তু আমাদের কাছে এটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। অবশ্য জাপানের অধিবাসীরা এই কঠিন বাস্তবতার ভেতর দিয়ে যাওয়ার পেছনে অনেক কারণও আছে। যদিও সেই কারণ অনুসন্ধান করা আমাদের আজকের ফিচারের বিষয় নয়। উল্টো, জাপানকে করিৎকর্মা জাতি হিসেবে উপস্থাপিত করতে যে প্রযুক্তি সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে তা নিয়েই কিছু লিখার জন্য এই ফিচার।

@ND-LIGHT

প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের নানান কৌশল খাটিয়ে জাপান সর্বক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্বে বৈদ্যুতিক বাতি আবিস্কারের পর এই বাতির সবচেয়ে বেশি উন্নতি সাধন করেছে জাপান। দীর্ঘমেয়াদী এবং উন্নত যত বৈদ্যুতিক বাতি আমরা এখন ব্যহবার করি তার পেছনে জাপানের পরিশ্রমী মানুষদেরই অবদান সবচেয়ে বেশি। এই জাপানের নাবানা পার্ক নামের একটি স্থানে শীতকালে ‘ফ্লাওয়ারস অব উইন্টার’ নামে একটি উৎসব পালিত হয়। প্রতিবছর এই উৎসবে প্রায় সাড়ে আট মিলিয়ন রঙিন বাতি জ্বালানো হয়। যে অঞ্চলটিতে এই বাতি জ্বালানো উৎসব পালন করা হয় সেখানে প্রচুর ফুল উৎপাদিত হয়। কিন্তু শীতকালে সেখানে কোনো ফুলই ফোটে না। তাই প্রকৃতির এই শূণ্যতা পূরণেই জাপানের মানুষেরা সৃষ্টি করেছে এই মনোমুগ্ধকর উৎসবের।

3RD-LIGHT

উৎসবটির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের আলোকজ্জ্বল সুড়ঙ্গ। বিভিন্ন রংয়ের এবং আকৃতির বাতি দিয়ে সাজানো এই সুড়ঙ্গ দেখতে শুধু যে জাপানের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই মানুষ আসে তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমনপিপাসু মানুষ এই সময় জাপানে আসেন। গত বছরের উৎসবে এই পার্কে প্রায় এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এসেছিল, তবে এবার আয়োজকরা আশা করছেন যে গতবারের তুলনায় এবার আরও বেশি মানুষের সমাগম হবে। যত দিন যাচ্ছে ততই বিদেশি পর্যটকদের সমাগম বাড়ছে বলেও উৎসবের আয়োজকদের বক্তব্য অনুসারে জানা যায়।

HOPES

আগামী মার্চ মাসের ৩১ তারিখ থেকে এক সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য পার্কটি উন্মুক্ত থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন সকাল ৯টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত পার্কটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। আর এই উৎসবে যোগ দিতে আপনাকে গুনতে হবে মাত্র ১৭ ডলার।