Khaleda-koko

দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুই দুর্নীতি মামলার শুনানি ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদালত মুলতবি করা হয়েছে৷বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির না হয়ে সময় আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া৷ ছেলের মৃতু্যতে শোকের কথা জানিয়ে খালেদা জিয়া বিএনপির হরতালের দিন আদালতে না যাওয়ায় দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্য পিছিয়ে গেছে৷

বুধবার ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার সাক্ষ্য শোনার জন্য আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ রেখেছেন৷জিয়া এতিমখানা ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় এদিন বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল৷

খালেদার আইনজীবীরা আদালতকে জানান,ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃতু্যতে বিএনপিনেত্রী শোকার্ত এবং অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি৷ মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, খালেদার আইনজীবীরা এ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করে সময়ের আবেদন করেন৷ রাষ্ট্রপক্ষ তাদের আবেদনের বিরোধিতা করেনি৷দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক নতুন তারিখ দেন বলে দুদকের এই আইনজীবী জানান৷

গত শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কুয়ালালামপুরে মৃতু্য হয় কোকোর, যিনি মুদ্রাপাচারের একটি মামলায় ছয় বছরের সাজা মাথায় নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় পলাতক ছিলেন৷ মঙ্গলবার তার মরদেহ দেশে এনে দাফন করা হয়৷এ দুই মামলার সর্বশেষ শুনানির দিন গত ১৫ জানুয়ারিও আদালতে যাননি খালেদা৷ সে সময় আদালতে হাজির না হওয়ার কারণ হিসাবে গুলশান কার্যালয়ে খালেদাকে অবরুদ্ধ করে রাখার কথা বলেছিলেন আইনজীবীরা৷

পরে বিচারক সময়ের আবেদন নাকচ করে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বাদীর সাক্ষ্য চালিয়ে যাওয়ায় আদেশ দিলে আদালতে হৈ চৈ হয়৷ খালেদার আইনজীবীরা বিচারকের প্রতি অনাস্থাও জানান৷বিচারক ওইদিন খালেদাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে ২৯ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রেখেছিলেন৷

খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া এর আগে ক জানান, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অকাল মৃত্যুতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত খালেদা জিয়া৷ তাছাড়া এর আগে আদালতে আসার পথে তার গাড়ি বহরে হামলা হওয়ায় তিনি নিরাপত্তাবোধও করছেন না৷ এ দুটি কারণে তিনি আদালতে আসছেন না৷ সময়ের আবেদন করা হয়েছে৷ এছাড়া মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত করার জন্যও আরেকটি আবেদনও করা হয়েছে৷

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,এর আগের নির্ধারিত তারিখে খালেদা জিয়া বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন৷ বিষয়টি হাইকোর্টেও শুনানির অপেক্ষায়৷ তাই ওই আবেদনের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার জন্য এ আবেদন করা হয়েছে৷

রাজধানীর বকশিবাজারে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ অস্থায়ী আদালতে দুর্নীতির মামলা দু’টির বিচার চলছে৷ গত ১৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশে আইন মন্ত্রণালয় এ আদালতের আগের বিচারক বাসুদেব রায়ের বদলে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ হিসাবে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবু আহমেদ জমাদারকে৷