দৈনিকবার্তা-ঢাকা, ২৮জানুয়ারি: জলবায়ু পরিবর্তনজণিত ৰতি মোকাবেলায় প্রাপ্ত তহবিলের অর্থ ব্যবহারের সৰমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত৷তিনি বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গঠিত তহবিলের অর্থ ব্যবহারে আমরা পুরোপুরি সক্ষম নই৷ আমাদের অব্যশই এই সক্ষমতা অর্জন করতে হবে৷ এক্ষেত্রে এখন থেকেই ব্যবস্থা নেয়া জরুরী৷বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবেলায় গঠিত আনত্মর্জাতিক তহবিল গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড (জিসিএফ) থেকে অর্থ সংগ্রহে প্রস্তুতিমূলক কাজের অগ্রগতির ওপর আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন৷
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন আহমেদ এবং গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ডের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের নির্বাহী পরিচালক হেলা চিখিরম্নউ বক্তব্য রাখেন৷অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে জিসিএফ-তহবিলের আকার ২শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে৷ এই তহবিলের একটি অংশ বাংলাদেশও পাবে৷ কারণ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বেশি ক্ষতিগ্রসত্ম দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম৷তিনি বলেন, এখন দেখার বিষয় এই তহবিল থেকে আমরা কি পরিমাণ অর্থ পাচ্ছি৷ যে অর্থ পাবো ক্ষতির তুলনায় তার পরিমাণ কম৷ তাই এই তহবিল থেকে অর্থ প্রাপ্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টা করতে হবে৷
জিসিএফ-এর কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে নির্বাহী পরিচালক হেলা চিখিরুউ বলেন, আগামী বছর থেকে ক্ষতিগ্রসত্ম দেশসমূহে জিসিএফ তহবিলের অর্থায়ন শুরু হবে বলে আশা করছি৷তিনি কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গৃহীত প্রকল্প সংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কারিগরি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন৷কর্মশালায় জানানো হয়, জিসিএফ বাসত্মবায়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইতোমধ্যে নির্বাচন করা হয়েছে৷ তবে এসব বাসত্মবায়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকান্ড সার্বিকভাবে তদারক করবে ইআরডি৷কর্মশালায় জিসিএফ-এ প্রবেশের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা হয়৷ জিসিএফ থেকে তহবিল প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের আগ্রহ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ৰতি মোকাবেলায় অর্থায়নের ৰেত্রে বাংলাদেশের নীতি, কৌশল ও পরিকল্পনা এবং জিসিএফ’র অর্থায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে বিসত্মারিত আলোচনা হয়৷