দৈনিকবার্তা- ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি: ছয় মাসের মধ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার নিষ্পত্তি হতে পারে। বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এর আগে সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠক শেষে সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আইনমন্ত্রী কমিটিকে জানিয়েছেন, আদালত নিয়মিত বসছে। মামলা নিষ্পত্তিতে ছয় মাস বা তার চেযয়েকম সময়ে লাগবে।
২০০৪ সালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ২৪ জন নিহত ও আওয়ামী লীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী আহত হন। আহত লোকজনের মধ্যে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও ছিলেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী জামায়াতের নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ এ মামলার আসামি।
আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত। তিনি বলেন, চাঞ্চল্যকর এর মামলাটি রায় দেখার জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে আছেন। তাই আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি যত দ্রুত সম্ভব এ মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে। আইনমন্ত্রীও আশ্বস্ত করেছেন আগামী ৬ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে। সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, এর আগেও বলেছি চাঞ্চল্যকর গ্রেনেড হামলা মামলা নিয়ে আর অপেক্ষা নয়। যত দ্রুত সম্ভব এর রায় দিতে হবে। তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলার প্রসিকিউটরদের বসার জায়গা ছিলো না তা করা হয়েছে।এছাড়া অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশন প্রসঙ্গে সুরঞ্জিত সেন বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এ কমিশনের চেয়ারম্যানকে ডাকা হয়েছিলো। আমরা তার কাজের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তাদেরও একটা জবাবদিহিতা থাকা দরকার। কমিটিকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, প্রয়োজনীয় জনবল ও অর্থিক সংকটের কারণে এ সংস্থা কাঙ্খিত সেবা দিতে পারছে না। মাত্র ২৮ জন জনবল দিয়ে চলছে এ কমিশন। তাই প্রয়োজনীয় জনবল ও আর্থিক দৈন্যতা দূর করার জন্য কমিটির সহায়তা চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন। এছাড়া মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান কমিটিকে জানিয়েছেন চলমান সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদের আগামী শনিবার একটি শান্তি র্যালি করবে তারা। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত জানান, বিভিন্ন মামলায় পুলিশের পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশনও তদন্তের ক্ষমতা চেয়েছে। তবে কমিটি তাতে সম্মতি দেয়নি। কমিটি বলেছে, আইন অনুযায়ী পুলিশ তদন্ত করবে। যদি কোনো মামলায় মানবাধিকারের বিচ্যুতির ঘটনা ঘটে, সে বিষয়ে কমিশন তাদের প্রতিবেদন দেবে।
সুরঞ্জিত জানান, কমিশন তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দাবি করেছে। এ ব্যাপারে কমিটি একমত পোষণ করেছে। সংবাদ ব্রিফিংয়েকমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক, জিয়াউল হক মৃধা ও সফুরা বেগম।